ঢাকা ০৭:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেখ হাসিনার নির্দেশনা ও ৬ মাসের রাজনীতি, অভিজ্ঞতা জানালেন সাকিব

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:২৮:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
  • ১৩ বার

২০১৮ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন জাতীয় দলের তৎকালীন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ২০২৪ সালে পরের নির্বাচনে যুক্ত হয় আরও একটি নাম- সাকিব আল হাসান। তবে সংসদ সদস্য হয়ে বেশিদিন টিকতে পারেননি এই অলরাউন্ডার। ৬ মাসের মাথায়ই পতন ঘটে তাদের সংসদের। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের।

সময়কাল মাত্র ৬ মাস হলেও, রাজনীতির এই সময়টুকুতেই অনেক কিছু হারিয়েছেন সাকিব আল হাসান। দেশে ফিরে অবসর নেওয়ার ইচ্ছা থাকলেও পারেননি। গত ৫ আগস্টের পর একবার দেশে ফেরার পথ ধরলেও দুবাই এসে ফিরে যেতে হয়েছে। জব্দ হয়েছে সাকিবের সম্পত্তি।

সম্প্রতি নিজের রাজনীতির বিভিন্ন দিক সম্পর্কে দেশের একটি ইংরেজি দৈনিককে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সাকিব। ক্রিকেট খেলা অবস্থায় কেন রাজনীতিতে এসেছিলেন, তার ব্যাখ্যায় সাকিব বলেন, ‘আমি সব সময় মনে করি, যদি কেউ উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে চায়, তবে সিস্টেমের ভেতরে আসতে হবে। কারণ, সিস্টেমের অংশ না হয়ে আপনি সেটাকে কীভাবে বদলাবেন? যেসব মানুষ এখন দেশ চালাচ্ছে, তারা যদি সিস্টেমের বাইরে থাকত, তাহলে তারা যে পরিবর্তনগুলো চেয়েছিল তা কি আনতে পারত?’

সংসদ সদস্য হিসেবে ৬ মাস কেমন ছিল, তার বর্ণনায় সাকিব বলেন, ‘আমি রাজনীতিতে মাত্র ছয় মাস ছিলাম। নির্বাচনের পর আমার মনে হয়, আমি তিন দিনের জন্য মাগুরা গিয়েছিলাম। আমি চার-পাঁচ মাস ধরে ক্রিকেট খেলেছি এবং একই পরিমাণ সময় দেশের বাইরে ছিলাম। ফলে আমি রাজনীতিতে ঠিকঠাক জড়িত হওয়ার সময়টাই–বা কোথায় পেলাম!’

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশ ছাড়তে বাধ্য হওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নাকি সাকিবকে কখনো পুরোপুরি রাজনীতিতে নামতে বলেননি। সাকিব নিজেই সেকথা স্বীকার করেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছিলেন, ‘‘তোমার রাজনীতি করতে হবে না, তুমি শুধু ক্রিকেটে মন দাও।’’ আমি সে পরামর্শ মেনে চলেছি। আমার আর কোনো এজেন্ডা ছিল না। সব সময় ভেবেছি, যত দিন ক্রিকেটে আছি, সেটাই আমার অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

শেখ হাসিনার নির্দেশনা ও ৬ মাসের রাজনীতি, অভিজ্ঞতা জানালেন সাকিব

আপডেট টাইম : ০৬:২৮:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

২০১৮ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন জাতীয় দলের তৎকালীন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ২০২৪ সালে পরের নির্বাচনে যুক্ত হয় আরও একটি নাম- সাকিব আল হাসান। তবে সংসদ সদস্য হয়ে বেশিদিন টিকতে পারেননি এই অলরাউন্ডার। ৬ মাসের মাথায়ই পতন ঘটে তাদের সংসদের। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের।

সময়কাল মাত্র ৬ মাস হলেও, রাজনীতির এই সময়টুকুতেই অনেক কিছু হারিয়েছেন সাকিব আল হাসান। দেশে ফিরে অবসর নেওয়ার ইচ্ছা থাকলেও পারেননি। গত ৫ আগস্টের পর একবার দেশে ফেরার পথ ধরলেও দুবাই এসে ফিরে যেতে হয়েছে। জব্দ হয়েছে সাকিবের সম্পত্তি।

সম্প্রতি নিজের রাজনীতির বিভিন্ন দিক সম্পর্কে দেশের একটি ইংরেজি দৈনিককে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সাকিব। ক্রিকেট খেলা অবস্থায় কেন রাজনীতিতে এসেছিলেন, তার ব্যাখ্যায় সাকিব বলেন, ‘আমি সব সময় মনে করি, যদি কেউ উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে চায়, তবে সিস্টেমের ভেতরে আসতে হবে। কারণ, সিস্টেমের অংশ না হয়ে আপনি সেটাকে কীভাবে বদলাবেন? যেসব মানুষ এখন দেশ চালাচ্ছে, তারা যদি সিস্টেমের বাইরে থাকত, তাহলে তারা যে পরিবর্তনগুলো চেয়েছিল তা কি আনতে পারত?’

সংসদ সদস্য হিসেবে ৬ মাস কেমন ছিল, তার বর্ণনায় সাকিব বলেন, ‘আমি রাজনীতিতে মাত্র ছয় মাস ছিলাম। নির্বাচনের পর আমার মনে হয়, আমি তিন দিনের জন্য মাগুরা গিয়েছিলাম। আমি চার-পাঁচ মাস ধরে ক্রিকেট খেলেছি এবং একই পরিমাণ সময় দেশের বাইরে ছিলাম। ফলে আমি রাজনীতিতে ঠিকঠাক জড়িত হওয়ার সময়টাই–বা কোথায় পেলাম!’

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশ ছাড়তে বাধ্য হওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নাকি সাকিবকে কখনো পুরোপুরি রাজনীতিতে নামতে বলেননি। সাকিব নিজেই সেকথা স্বীকার করেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছিলেন, ‘‘তোমার রাজনীতি করতে হবে না, তুমি শুধু ক্রিকেটে মন দাও।’’ আমি সে পরামর্শ মেনে চলেছি। আমার আর কোনো এজেন্ডা ছিল না। সব সময় ভেবেছি, যত দিন ক্রিকেটে আছি, সেটাই আমার অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।’