ঢাকা ০৯:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খালিয়াজুরীতে বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন, সভাপতি-স্বাধীনও ঙৃসম্পাদক-কেষ্টু

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৪৪:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৬ বার

নিজাম (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ দীর্ঘ ১১ বছর পর নেত্রকোনার খালিয়াজুরি উপজেলা বিএনপির সম্মেলন হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে খালিয়াজুরি কলেজ মাঠে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে সভাপতি হিসেবে আবদুর রউফ ওরফে স্বাধীনকে এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মাহবুবর রহমান ওরফে কেষ্টুকে নির্বাচন করা হয়েছে। আবদুর রউফ আগের কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। আর মাহবুবর রহমান যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।

বিএনপি দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ ২০১৪ সালে খালিয়াজুরি উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর দীর্ঘ ১১ বছর কোনও সম্মেলন করতে পারেনি দলটি। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সক্রিয় হয়ে ওঠেন তৃণমূল বিএনপির নেতা-কর্মীরা। তাঁদের দাবির প্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার খালিয়াজুরি কলেজ মাঠে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ১২টার দিকে সম্মেলন উদ্বোধন করে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক চিকিৎসক মো. আনোয়ারুল হক। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ময়মনসিংহ বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম। বিশেষ বক্তা ছিলেন জেলা কমিটির সদস্য সচিব ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম হিলালী। পরে প্রথম অধিবেশনে উপজেলা কমিটির সাবেক আহ্বায়ক আবদুর রউফের সভাপতিত্বে ও সাবেক আহ্বায়ক মাসুদ রানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধক, প্রধান অতিথি এবং বিশেষ অতিথি ছাড়াও বক্তব্য দেন, ময়মনসিংহ বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক শাহ্ ওয়ারেছ আলী, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও নেত্রকোনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ উদ্দিন খান, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নান তালুকদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের তালুকদার, বর্তমান কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক বজলুর রহমান পাঠান, এসএম মনিরুজ্জামান দুদু প্রমুখ।

সম্মেলনের বিকেলে দ্বিতীয় পর্বে কাউন্সিল অধিবেশনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে সরাসরি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে সভাপতি পদে আবদুর রউফ এবং আবুল কালাম আজাদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আর সাধারণ সম্পাদক পদে মাহবুবুর রহমানসহ ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ছয়টি ইউনিয়নের ৪৩১ জন ভোটারের মধ্যে ৪৩০ জন ভোটার সরাসরি তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এতে ৩১৭ ভোট পেয়ে আবদুর রউফ সভাপতি নির্বাচিত হন। আর ৯৮ ভোট পেয়ে মাহবুবর রহমান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নাজমুল হক পান ৯৭ ভোট। সন্ধ্যার পর ফলাফল ঘোষণা করা হয়। রাত পৌনে আটটার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কমিটি নিয়ে কোন কারো কোন বিরূপ মন্তব্য বা প্রতিক্রিয়া শোনা যায়নি।

ভোটার শামছুল ইসলাম তালুকদার বলেন, আমরা সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোট দিয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করেছি। ভোটাররা সৎ, আদর্শবান ও ত্যাগী নেতাদেরই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত করেছেন। যারা তৃণমূলের সাধারণ নেতা-কর্মীদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকেন।

বিজয়ী সভাপতি আবদুর রউফ বলেন, দীর্ঘদিন পরে হলেও আমরা স্বাধীনভাবে দলের সম্মেলন করতে পেরেছি। আশা করি, নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে দল আরও সুসংগঠিত ও শক্তিশালী হবে।

সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান বলেন, বিগত সরকারের লোকজন আমাদের ওপর মামলা-হামলা করে নানারকম অত্যাচার-নির্যাতন করেছে। তাদের অত্যাচারে অসংখ্য মামলার হুলিয়া মাথায় নিয়ে আমাদের পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে। তবুও আমি দলের নেতা-কর্মীদের পাশে ছিলাম, তাঁরা আমাকে মূল্যায়ন করেছেন সে জন্য কৃতজ্ঞ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

খালিয়াজুরীতে বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন, সভাপতি-স্বাধীনও ঙৃসম্পাদক-কেষ্টু

আপডেট টাইম : ০৯:৪৪:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫

নিজাম (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ দীর্ঘ ১১ বছর পর নেত্রকোনার খালিয়াজুরি উপজেলা বিএনপির সম্মেলন হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে খালিয়াজুরি কলেজ মাঠে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে সভাপতি হিসেবে আবদুর রউফ ওরফে স্বাধীনকে এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মাহবুবর রহমান ওরফে কেষ্টুকে নির্বাচন করা হয়েছে। আবদুর রউফ আগের কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। আর মাহবুবর রহমান যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।

বিএনপি দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ ২০১৪ সালে খালিয়াজুরি উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর দীর্ঘ ১১ বছর কোনও সম্মেলন করতে পারেনি দলটি। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সক্রিয় হয়ে ওঠেন তৃণমূল বিএনপির নেতা-কর্মীরা। তাঁদের দাবির প্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার খালিয়াজুরি কলেজ মাঠে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ১২টার দিকে সম্মেলন উদ্বোধন করে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক চিকিৎসক মো. আনোয়ারুল হক। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ময়মনসিংহ বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম। বিশেষ বক্তা ছিলেন জেলা কমিটির সদস্য সচিব ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম হিলালী। পরে প্রথম অধিবেশনে উপজেলা কমিটির সাবেক আহ্বায়ক আবদুর রউফের সভাপতিত্বে ও সাবেক আহ্বায়ক মাসুদ রানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধক, প্রধান অতিথি এবং বিশেষ অতিথি ছাড়াও বক্তব্য দেন, ময়মনসিংহ বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক শাহ্ ওয়ারেছ আলী, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও নেত্রকোনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ উদ্দিন খান, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নান তালুকদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের তালুকদার, বর্তমান কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক বজলুর রহমান পাঠান, এসএম মনিরুজ্জামান দুদু প্রমুখ।

সম্মেলনের বিকেলে দ্বিতীয় পর্বে কাউন্সিল অধিবেশনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে সরাসরি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে সভাপতি পদে আবদুর রউফ এবং আবুল কালাম আজাদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আর সাধারণ সম্পাদক পদে মাহবুবুর রহমানসহ ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ছয়টি ইউনিয়নের ৪৩১ জন ভোটারের মধ্যে ৪৩০ জন ভোটার সরাসরি তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এতে ৩১৭ ভোট পেয়ে আবদুর রউফ সভাপতি নির্বাচিত হন। আর ৯৮ ভোট পেয়ে মাহবুবর রহমান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নাজমুল হক পান ৯৭ ভোট। সন্ধ্যার পর ফলাফল ঘোষণা করা হয়। রাত পৌনে আটটার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কমিটি নিয়ে কোন কারো কোন বিরূপ মন্তব্য বা প্রতিক্রিয়া শোনা যায়নি।

ভোটার শামছুল ইসলাম তালুকদার বলেন, আমরা সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোট দিয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করেছি। ভোটাররা সৎ, আদর্শবান ও ত্যাগী নেতাদেরই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত করেছেন। যারা তৃণমূলের সাধারণ নেতা-কর্মীদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকেন।

বিজয়ী সভাপতি আবদুর রউফ বলেন, দীর্ঘদিন পরে হলেও আমরা স্বাধীনভাবে দলের সম্মেলন করতে পেরেছি। আশা করি, নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে দল আরও সুসংগঠিত ও শক্তিশালী হবে।

সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান বলেন, বিগত সরকারের লোকজন আমাদের ওপর মামলা-হামলা করে নানারকম অত্যাচার-নির্যাতন করেছে। তাদের অত্যাচারে অসংখ্য মামলার হুলিয়া মাথায় নিয়ে আমাদের পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে। তবুও আমি দলের নেতা-কর্মীদের পাশে ছিলাম, তাঁরা আমাকে মূল্যায়ন করেছেন সে জন্য কৃতজ্ঞ।