ঢাকা ০৬:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা ট্রাইব্যুনালের

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:৪৭:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ২৩ বার

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।একই সঙ্গে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তার প্রচার হওয়া আগের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য সরাতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

আজ বৃহস্পতিবার প্রসিকিউশন টিমের এক আবেদনের শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে সকালে শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আবেদন করে প্রসিকিউশন বিভাগ।সে সময় প্রসিকিউশন জানায়, শেখ হাসিনা যে সমস্ত হেইট স্পিচ দিচ্ছেন, তা বন্ধেই এ আবেদন।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। বর্তমানে ভারতেই রয়েছেন তিনি। সেখান থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্য করে যাচ্ছেন। নেতাকর্মীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলে সেই বক্তব্য আবার নিজেই ছড়িয়ে দিতে বলছেন। সেগুলো আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালও হয়েছে।

সবশেষ ভারতের মাটি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত এক আলোচনাসভায় ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন শেখ হাসিনা। সেই বক্তব্যও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে প্রচারিত হয়।

এদিকে জুলাই-আগস্টে গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত এক মাসের মধ্যে শেষ করতে গত ১৮ নভেম্বর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে এই প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।এর আগে শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির আবেদন করা হয়। যা এখনো প্রক্রিয়াধীন।

প্রসঙ্গত, এখন পর্যন্ত গত ৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের কয়েকশ অভিযোগ জমা পড়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন অফিসে। গত ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।

এরই মধ্যে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ৯ মন্ত্রী, দুই উপদেষ্টা, অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতি ও সাবেক সচিবকে কারাগারে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা ট্রাইব্যুনালের

আপডেট টাইম : ০৬:৪৭:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।একই সঙ্গে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তার প্রচার হওয়া আগের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য সরাতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

আজ বৃহস্পতিবার প্রসিকিউশন টিমের এক আবেদনের শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে সকালে শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আবেদন করে প্রসিকিউশন বিভাগ।সে সময় প্রসিকিউশন জানায়, শেখ হাসিনা যে সমস্ত হেইট স্পিচ দিচ্ছেন, তা বন্ধেই এ আবেদন।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। বর্তমানে ভারতেই রয়েছেন তিনি। সেখান থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্য করে যাচ্ছেন। নেতাকর্মীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলে সেই বক্তব্য আবার নিজেই ছড়িয়ে দিতে বলছেন। সেগুলো আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালও হয়েছে।

সবশেষ ভারতের মাটি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত এক আলোচনাসভায় ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন শেখ হাসিনা। সেই বক্তব্যও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে প্রচারিত হয়।

এদিকে জুলাই-আগস্টে গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত এক মাসের মধ্যে শেষ করতে গত ১৮ নভেম্বর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে এই প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।এর আগে শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির আবেদন করা হয়। যা এখনো প্রক্রিয়াধীন।

প্রসঙ্গত, এখন পর্যন্ত গত ৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের কয়েকশ অভিযোগ জমা পড়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন অফিসে। গত ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।

এরই মধ্যে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ৯ মন্ত্রী, দুই উপদেষ্টা, অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতি ও সাবেক সচিবকে কারাগারে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।