ঢাকা ০৭:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ায় যা বলছে আরব বিশ্ব

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:২০:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪
  • ২ বার

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দ্রুত অভিনন্দন জানিয়েছেন আরব নেতারা।তাদের মধ্যে কেউ কেউ মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ থামাতে ট্রাম্প ভূমিকা রাখতে পারবেন বলে আশা করছেন। কেউ আবার ইরানের বিরুদ্ধে তার আরও কঠোর অবস্থানের আশা করছেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকার এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, কৌশলগত অংশীদারিত্ব জোরদার করা গুরুত্বপূর্ণ। সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতা এবং কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদও একই কথা বলেছেন।

তাদের সবার ধারণা ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাতের অবসান ঘটাতে পারবেন। বৈরুতের রিসার্চ সেন্টার ফর কো-অপারেশন এন্ড পিস বিল্ডিং-এর প্রেসিডেন্ট দানিয়া কোলেইলাত খতিব বলেন, নির্বাচনের সময় বাইডেনের আরও লেনদেনমূলক পদ্ধতির তুলনায় এই ধরনের নেতাদের সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্কের উপর জোর দিয়েছিলেন ট্রাম্প।

খতিব বলেন, আরব নেতারা চান ট্রাম্প যেন গাজা ও লেবাননে যুদ্ধের অবসান ঘটান। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারণায় তার অন্যতম প্রধান প্রতিশ্রুতি ছিল গাজায় যুদ্ধের অবসান ঘটানো। কিন্তু কীভাবে অবসান ঘটানো হবে? আমরা জানি না। উদ্বেগের বিষয় হলো (ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন) নেতানিয়াহু ইরানকে আক্রমণ করছেন। এটা খুব বড় ব্যাপার। ইরানকে মোকাবিলা করা ট্রাম্পের জন্য সহজ হবে না।’

ধনী উপসাগরীয় দেশগুলো ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করেছে এবং ইসলামিক এই প্রজাতন্ত্রটিকে নিশ্চয়তা দিয়েছে যে, তারা ইরানের ওপর হামলা চালানোর জন্য ইসরায়েলকে তাদের আকাশসীমা ব্যবহার করতে দেবে না।

জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ, মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি, লেবাননের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নাজিব মাকাতিও ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।ক্রমবর্ধমান সংঘাত নিরসনে আলোচনার চেষ্টায় যারা জড়িত, তারাও ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

আম্মানের বিশ্লেষক ওসামা আল শরিফ বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন আগামী বছর প্রেসিডেন্টের অভিষেকেরাগেই সংঘাতের অবসান ঘটাতে নেতানিয়াহুকে চাপ দেবেন ট্রাম্প। তিনি অবশ্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, ট্রাম্প ইসরায়েলের বর্তমান কঠোর ডানপন্থী সরকারের অধীনে পশ্চিম তীরের বেশিরভাগ অংশের ইসরায়েলের সংযুক্তির স্বীকৃতি দিতে পারেন যা, তিনি বলেন, ফিলিস্তিন ও জর্ডানের জন্য ‘বিষয়গুলোকে নাটকীয়ভাবে জটিল করে তুলবে।’

অন্যদিকে মার্কিন নির্বাচনের প্রতিক্রিয়ায় ইরান নির্বাচনে ফলকে কোন গুরুত্ব না দিয়ে বলেছে, তারা ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘর্ষের জন্য প্রস্তুত।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ায় যা বলছে আরব বিশ্ব

আপডেট টাইম : ০৫:২০:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দ্রুত অভিনন্দন জানিয়েছেন আরব নেতারা।তাদের মধ্যে কেউ কেউ মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ থামাতে ট্রাম্প ভূমিকা রাখতে পারবেন বলে আশা করছেন। কেউ আবার ইরানের বিরুদ্ধে তার আরও কঠোর অবস্থানের আশা করছেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকার এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, কৌশলগত অংশীদারিত্ব জোরদার করা গুরুত্বপূর্ণ। সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতা এবং কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদও একই কথা বলেছেন।

তাদের সবার ধারণা ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাতের অবসান ঘটাতে পারবেন। বৈরুতের রিসার্চ সেন্টার ফর কো-অপারেশন এন্ড পিস বিল্ডিং-এর প্রেসিডেন্ট দানিয়া কোলেইলাত খতিব বলেন, নির্বাচনের সময় বাইডেনের আরও লেনদেনমূলক পদ্ধতির তুলনায় এই ধরনের নেতাদের সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্কের উপর জোর দিয়েছিলেন ট্রাম্প।

খতিব বলেন, আরব নেতারা চান ট্রাম্প যেন গাজা ও লেবাননে যুদ্ধের অবসান ঘটান। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারণায় তার অন্যতম প্রধান প্রতিশ্রুতি ছিল গাজায় যুদ্ধের অবসান ঘটানো। কিন্তু কীভাবে অবসান ঘটানো হবে? আমরা জানি না। উদ্বেগের বিষয় হলো (ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন) নেতানিয়াহু ইরানকে আক্রমণ করছেন। এটা খুব বড় ব্যাপার। ইরানকে মোকাবিলা করা ট্রাম্পের জন্য সহজ হবে না।’

ধনী উপসাগরীয় দেশগুলো ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করেছে এবং ইসলামিক এই প্রজাতন্ত্রটিকে নিশ্চয়তা দিয়েছে যে, তারা ইরানের ওপর হামলা চালানোর জন্য ইসরায়েলকে তাদের আকাশসীমা ব্যবহার করতে দেবে না।

জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ, মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি, লেবাননের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নাজিব মাকাতিও ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।ক্রমবর্ধমান সংঘাত নিরসনে আলোচনার চেষ্টায় যারা জড়িত, তারাও ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

আম্মানের বিশ্লেষক ওসামা আল শরিফ বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন আগামী বছর প্রেসিডেন্টের অভিষেকেরাগেই সংঘাতের অবসান ঘটাতে নেতানিয়াহুকে চাপ দেবেন ট্রাম্প। তিনি অবশ্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, ট্রাম্প ইসরায়েলের বর্তমান কঠোর ডানপন্থী সরকারের অধীনে পশ্চিম তীরের বেশিরভাগ অংশের ইসরায়েলের সংযুক্তির স্বীকৃতি দিতে পারেন যা, তিনি বলেন, ফিলিস্তিন ও জর্ডানের জন্য ‘বিষয়গুলোকে নাটকীয়ভাবে জটিল করে তুলবে।’

অন্যদিকে মার্কিন নির্বাচনের প্রতিক্রিয়ায় ইরান নির্বাচনে ফলকে কোন গুরুত্ব না দিয়ে বলেছে, তারা ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘর্ষের জন্য প্রস্তুত।