ঢাকা ০৭:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৪ মামলায় খালাস পেয়ে যা বললেন ‘শিশুবক্তা’ মাদানী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:২৫:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪
  • ২ বার

আলোচিত ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছিল তার সবগুলোই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। আজ বুধবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের চার মামলায় খালাস পেয়ে আদালত অঙ্গনে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ দাবি করেন।

এ সময় মাদানী বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মোট সাতটি মামলার মধ্যে হাসিনার পতনের পর আজ চার মামলায় খালাস পেলাম। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয় তার সবগুলো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি বিচারকের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি অনেক খুশি এবং দোয়া করি এ দেশের প্রত্যেক আলেম যেন মিথ্যা সকল মামলা থেকে মুক্তি পান।’

রাজধানীর মতিঝিল, তেজগাঁও, পল্টন ও গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের চার মামলায় খালাস পেয়েছেন আলোচিত এ ‘শিশুবক্তা’।

ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নূরে আলম দীর্ঘদিন সাক্ষী না আসায় খালাসের এই আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. রফিকুল ইসলাম ও মাদনীর আইনজীবী শোহেল মো. ফজলে রাব্বী, মামলাগুলো সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে ছিল। দীর্ঘদিন সাক্ষী না আসায় আসামি পক্ষে সাক্ষ্য গ্রহণ স্থগিত করে খালাসের জন্য আবেদন করা হয়। আদালত সন্তুষ্ট হয়ে সাক্ষ্য গ্রহণ স্থগিত করে খালাসের রায় দেন।

রাষ্ট্রবিরোধী ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে ২০২১ সালের ৮ এপ্রিল সৈয়দ আদনান শান্ত নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় রফিকুল ইসলামসহ পাঁচজনকে আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন। তদন্ত শেষে একই বছরের ১৯ অক্টোবর তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

একই অভিযোগে ২০২১ সালের ৮ এপ্রিল রফিকুলের বিরুদ্ধে গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন র‌্যাব-১ এর নায়েব সুবেদার আব্দুল খালেক। ২০২১ সালের ৩০ জুন তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন র্যাব-১ এর সিনিয়ার সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুল হক।

২০২১ সালের ১১ এপ্রিল মো. মামুন নামের একজন বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলা করেন। ২০২১ সালের ১১ এপ্রিল গাজিপুরের বাসন থানায় মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন। তদন্ত শেষে একই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মো. সাখাওয়াত হোসেন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

২০২১ সালের ৭ এপ্রিল ভোরে রফিকুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার লেটিরকান্দা থেকে তাকে আটক করে র‌্যাব। দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার পর কারামুক্ত হন তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

৪ মামলায় খালাস পেয়ে যা বললেন ‘শিশুবক্তা’ মাদানী

আপডেট টাইম : ০৬:২৫:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪

আলোচিত ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছিল তার সবগুলোই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। আজ বুধবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের চার মামলায় খালাস পেয়ে আদালত অঙ্গনে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ দাবি করেন।

এ সময় মাদানী বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মোট সাতটি মামলার মধ্যে হাসিনার পতনের পর আজ চার মামলায় খালাস পেলাম। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয় তার সবগুলো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি বিচারকের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি অনেক খুশি এবং দোয়া করি এ দেশের প্রত্যেক আলেম যেন মিথ্যা সকল মামলা থেকে মুক্তি পান।’

রাজধানীর মতিঝিল, তেজগাঁও, পল্টন ও গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের চার মামলায় খালাস পেয়েছেন আলোচিত এ ‘শিশুবক্তা’।

ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নূরে আলম দীর্ঘদিন সাক্ষী না আসায় খালাসের এই আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. রফিকুল ইসলাম ও মাদনীর আইনজীবী শোহেল মো. ফজলে রাব্বী, মামলাগুলো সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে ছিল। দীর্ঘদিন সাক্ষী না আসায় আসামি পক্ষে সাক্ষ্য গ্রহণ স্থগিত করে খালাসের জন্য আবেদন করা হয়। আদালত সন্তুষ্ট হয়ে সাক্ষ্য গ্রহণ স্থগিত করে খালাসের রায় দেন।

রাষ্ট্রবিরোধী ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে ২০২১ সালের ৮ এপ্রিল সৈয়দ আদনান শান্ত নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় রফিকুল ইসলামসহ পাঁচজনকে আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন। তদন্ত শেষে একই বছরের ১৯ অক্টোবর তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

একই অভিযোগে ২০২১ সালের ৮ এপ্রিল রফিকুলের বিরুদ্ধে গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন র‌্যাব-১ এর নায়েব সুবেদার আব্দুল খালেক। ২০২১ সালের ৩০ জুন তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন র্যাব-১ এর সিনিয়ার সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুল হক।

২০২১ সালের ১১ এপ্রিল মো. মামুন নামের একজন বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলা করেন। ২০২১ সালের ১১ এপ্রিল গাজিপুরের বাসন থানায় মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন। তদন্ত শেষে একই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মো. সাখাওয়াত হোসেন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

২০২১ সালের ৭ এপ্রিল ভোরে রফিকুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার লেটিরকান্দা থেকে তাকে আটক করে র‌্যাব। দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার পর কারামুক্ত হন তিনি।