ঢাকা ১০:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

গ্রেপ্তারের পর কারাগারে সাংবাদিক নেতা মোল্লা জালাল

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:০৪:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪
  • ৩ বার

একজন সংগীতশিল্পীকে অপহরণ ও ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি মোল্লা জালালের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার রাজধানীর শাহবাগ থানার এই মামলায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আখতারুজ্জামান কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। যা মঙ্গলবার জানা গেছে।

এর আগে গতকাল সোমবার দুপুর সোয়া ১২টায় রাজধানীর সেগুন বাগিচার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গত ১ নভেম্বর অপহরণ ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে সাংবাদিক মোল্লা জালাল ও তার সহযোগী সলেমান ওরফে সেলিমের বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন এক নারী। এজহারে তিনি নিজেকে সংগীত শিল্পীহিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।

মামলায় বলা হয়, ‘মোল্লা জালাল সাংবাদিকতার পরিচয়ে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে আমাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছিলেন। আমি একজন সংগীতশিল্পী। ২০০৭ সালে ভালুকা প্রেসক্লাবে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশনের সুবাধে মোল্লা জালালের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। গত ৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টার দিকে শাহবাগ থানাধীন শিল্পকলা মৎস্য ভবন গেটের সামনে পিঠার দোকানের সামনে আসামি মোল্লা জালালের একজন লোক রানার সঙ্গে আমার কথাকাটাকাটি হয়। তখন স্থানীয় লোকজন মীমাংসা করে দেন।আমি সেখানে কাজ শেষে শিল্পকলা হয়ে হেঁটে বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা করি। রাত সাড়ে ৭টার সময় হাইকোর্ট গেটের নিকট পৌঁছালে আসামি সলেমান ওরফে সেলিম ও অজ্ঞাতনামা একজন লোক আমার চোখ কাপড় দিয়ে বেঁধে জোর করে গাড়িতে তুলে অজ্ঞাত বাসায় নিয়া যান। উক্ত স্থানে আসামি মোল্লা জালাল, সলেমান ওরফে সেলিম এবং অজ্ঞাতনামা ওই ব্যক্তি আমাকে চুলের মুঠি ধরে এলোপাতাড়ি মারধর করে জখম করেন। অন্য আসামিদের সহায়তায় আসামি মোল্লা জালাল শ্লীলতাহানি করেন এবং ধর্ষণের চেষ্টা করেন। আমি চিৎকার করলে আসামি আমাকে ছেড়ে দেন এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদানসহ প্রাণনাশের হুমকি দেন। পরদিন ভোর অনুমান ৫টার দিকে আসামি সলেমান ওরফে সেলিম ও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি গাড়িতে করে আমাকে রমনা পার্কের ওভার ব্রিজের নিকটে রাস্তায় রেখে চলে যান। আমি বাসায় ফিরে আমার ছেলে এবং ছেলের স্ত্রীর কাছে ঘটনার বিস্তারিত বলি। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে থানায় এসে এজাহার দায়ের করায় বিলম্ব হয়।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

মদনে লুৎফুজ্জামান বাবর’র মুক্তির দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

গ্রেপ্তারের পর কারাগারে সাংবাদিক নেতা মোল্লা জালাল

আপডেট টাইম : ০৬:০৪:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪

একজন সংগীতশিল্পীকে অপহরণ ও ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি মোল্লা জালালের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার রাজধানীর শাহবাগ থানার এই মামলায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আখতারুজ্জামান কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। যা মঙ্গলবার জানা গেছে।

এর আগে গতকাল সোমবার দুপুর সোয়া ১২টায় রাজধানীর সেগুন বাগিচার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গত ১ নভেম্বর অপহরণ ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে সাংবাদিক মোল্লা জালাল ও তার সহযোগী সলেমান ওরফে সেলিমের বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন এক নারী। এজহারে তিনি নিজেকে সংগীত শিল্পীহিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।

মামলায় বলা হয়, ‘মোল্লা জালাল সাংবাদিকতার পরিচয়ে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে আমাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছিলেন। আমি একজন সংগীতশিল্পী। ২০০৭ সালে ভালুকা প্রেসক্লাবে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশনের সুবাধে মোল্লা জালালের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। গত ৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টার দিকে শাহবাগ থানাধীন শিল্পকলা মৎস্য ভবন গেটের সামনে পিঠার দোকানের সামনে আসামি মোল্লা জালালের একজন লোক রানার সঙ্গে আমার কথাকাটাকাটি হয়। তখন স্থানীয় লোকজন মীমাংসা করে দেন।আমি সেখানে কাজ শেষে শিল্পকলা হয়ে হেঁটে বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা করি। রাত সাড়ে ৭টার সময় হাইকোর্ট গেটের নিকট পৌঁছালে আসামি সলেমান ওরফে সেলিম ও অজ্ঞাতনামা একজন লোক আমার চোখ কাপড় দিয়ে বেঁধে জোর করে গাড়িতে তুলে অজ্ঞাত বাসায় নিয়া যান। উক্ত স্থানে আসামি মোল্লা জালাল, সলেমান ওরফে সেলিম এবং অজ্ঞাতনামা ওই ব্যক্তি আমাকে চুলের মুঠি ধরে এলোপাতাড়ি মারধর করে জখম করেন। অন্য আসামিদের সহায়তায় আসামি মোল্লা জালাল শ্লীলতাহানি করেন এবং ধর্ষণের চেষ্টা করেন। আমি চিৎকার করলে আসামি আমাকে ছেড়ে দেন এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদানসহ প্রাণনাশের হুমকি দেন। পরদিন ভোর অনুমান ৫টার দিকে আসামি সলেমান ওরফে সেলিম ও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি গাড়িতে করে আমাকে রমনা পার্কের ওভার ব্রিজের নিকটে রাস্তায় রেখে চলে যান। আমি বাসায় ফিরে আমার ছেলে এবং ছেলের স্ত্রীর কাছে ঘটনার বিস্তারিত বলি। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে থানায় এসে এজাহার দায়ের করায় বিলম্ব হয়।’