উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) বা সমমানের পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। গতকাল মঙ্গলবার রাতে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘সরকারকে সময় দেওয়া উচিত। আগামী এক বছরের মধ্যে আমরা ক্ষতগুলো সারিয়ে নতুন পথের দিকে যেতে পারব। অনেকে অযৌক্তিক দাবিতে রাস্তায় নেমে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে।’
আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আজকে এইচএসসি পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকারীরা সচিবালয়ের গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে যায়। আমরা খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে তাদের কয়েকজন প্রতিনিধি নিয়ে সচিবের সাথে কথা বলতে চাই। কিন্তু তারা কোনো প্রতিনিধি না দিয়ে সবাই সচিবালয়ের উপরে ওঠে যায়। এরপর তারা আন্তঃ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সমন্বয়কদের অবরোধ করে রাখে। তাদের বোঝানোর চেষ্টা করলেও তারা শুনেনি। একপর্যায়ে তারা অবরুদ্ধ করে রাখলে শিক্ষা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার সাথে আলোচনা করে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পরীক্ষা বাতিলের বিষয়টিকে কখনো সমর্থন করি না। কারণ পরীক্ষাই একজন শিক্ষার্থীর মেধা মূল্যায়নের একমাত্র মাধ্যম। আন্দোলন সফল বা দাবি জানানোর কিছু কাঠামোগত প্রক্রিয়া রয়েছে। প্রথমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাতে হয়। তারা না শুনলে স্মারকলিপি দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু প্রথমেই অনেকে রাজপথ দখলের কর্মসূচি দিয়েছে।’