রাজধানী থেকে গ্রেফতার হওয়া চার নারী জেএমবি সদস্যকে দ্বিতীয় দফায় ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। গোয়েন্দারা প্রথম দফার রিমান্ড শেষে জানায়, ইন্টার্ন ডাক্তার ঐশির ল্যাপটপের অধিকতর ফরেনসিক পরীক্ষার মাধ্যমে সেসব তথ্য উদ্ধার করতে সক্ষম হন। সেখানে কথিত জিহাদের জন্য নিজেকে গড়ে তোলার প্রয়োজনীয় নির্দেশনাগুলো পাওয়া যায়। যদিও ঐশি নিজের ল্যাপটপ থেকে প্রথম দফাতেই সব নির্দেশনা মুছে দিয়েছিল।
আরও জানা গেছে, জেএমবির চার নারী সদস্য গাজীপুরের সাইনবোর্ড হাজীরপুকুর এলাকায় পাখি শিকারের মাধ্যমে বন্দুক চালনা ও টার্গেট শুটিংয়ের প্রশিক্ষণ নিয়েছে। জিহাদের প্রস্তুতি পর্বের আওতায় তাদের এ প্রশিক্ষণ দেয়া হয় বলে জানা গেছে।
গত ১৬ আগস্ট রাজধানীর মগবাজার এলাকা থেকে ঐশি, আকলিমা, মেঘনা ও মৌ নামের ওই ৪ নারী জেএমবির সদস্যকে আটক করে র্যাব। এদের মধ্যে ঐশি ঢাকা মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক। বাকি তিনজন মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষার্থী।
রাজধানীতে আত্মঘাতি জঙ্গি বানাতে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে এমন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ডজন দুয়েক ছাত্রীর নাম পরিচয় গোয়েন্দাদের কাছে ফাঁস করেছে জঙ্গি নেত্রী আকলিমা।
গুলশানের হলি আর্টিজনে জঙ্গি হামলা ও বিদেশীদের হত্যাকাণ্ডের পর গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য আসে রাজধানীর বিভিন্ন আত্মঘাতী সংগঠনের কথা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেফতার করা হয় ৪ নারী জঙ্গিকে।