ঢাকা ০৪:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দৃঢ় কণ্ঠে কোটা পদ্ধতি বাতিল দাবি সোহেল রানার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৩৮:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪
  • ৪২ বার

মুক্তিযোদ্ধা ও নায়ক সোহেল রানা সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে চলমান আন্দোলন নিয়ে নিজের দৃঢ় অবস্থান জানিয়েছেন। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দৃঢ় কণ্ঠে কোটা পদ্ধতি বাতিল ঘোষণা করেছেন তিনি।

সোমবার বিকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারা সম্মান পেয়েছে, সম্মানী পেয়েছে। ৩০ লাখ শহিদকে আমরা কী দিয়েছি উত্তর দিয়ে তারপর চিৎকার করুন। কোটা সিস্টেম বাতিল, সম্পূর্ণ বাতিল।’

ওই পোস্টের প্রায় সাত ঘণ্টা আগে তিনি লেখেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের নাম বারবার বলা হচ্ছে কেন? দেশ স্বাধীন হয়েছে ৫৩ বছর। তার সঙ্গে যদি আরও ১২ বছর যোগ করা হয় তাহলে তার বয়স হয় ৬৫। এই বয়সে তো নিশ্চয়ই কেউ চাকরির জন্য চেষ্টা করে না বা স্কুল-কলেজে ভর্তি হয় না। তাদের সন্তানদের বাবার জন্য কোটা সিস্টেমে চাকরি এবং ভর্তি হতে হবে, এটা মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করার শামিল। নিজ মেরিটে তারা ভর্তি হবে, পরীক্ষা দেবে এবং চাকরিতেও ইন্টারভিউ দেবে। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা কখনো এ ধরনের সুযোগ চাইনি, সম্মান যখন নেই, তখন এই ধরনের সুযোগ দিয়ে তার সন্তানদের সম্মান দেখানো একটা অপচেষ্টা মাত্র।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘সম্মানী দেওয়া ছাড়া তাদের জন্য আপনারা কী করেছেন মুখে মুখে? তাদের জন্য মায়াকান্না করেছেন। ড্রেস থেকে চিকিৎসা বা চলাফেরা কোনো কিছুতেই কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি তাই আমরা কখনোই কিছু চাইনি। জাতির পিতার নির্দেশে দেশ স্বাধীন করার দরকার ছিল, আমরা সেটাই করেছি। সর্বস্তরে এই কোটা সিস্টেম বাতিল করা হোক। এটা দেশের সবার দাবি।’

লেখক কাজী আনোয়ার হোসেনের চরিত্র মাসুদ রানা সিরিজের একটি গল্প অবলম্বনে ‘মাসুদ রানা’ সিনেমার নায়ক হিসেবে তার নাম হয় মাসুদ রানা। এই ছবির মাধ্যমে তিনি পরিচালক মাসুদ পারভেজ হিসেবে পরিচিতি পান। ১৯৭৪ সালে মুক্তি পায় ছবিটি।

শিক্ষাজীবনে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সোহেল রানা। ১৯৬৫ সালে বৃহত্তর ময়মনসিংহ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৬৬ সালে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের এজিএস, ১৯৬৮ সালে পুরো পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। ছাত্রলীগের তুখোড় এই নেতা ২০০৯ সালে যোগ দেন জাতীয় পার্টিতে। পরে প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নির্বাচনবিষয়ক উপদেষ্টাও হন তিনি।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দৃঢ় কণ্ঠে কোটা পদ্ধতি বাতিল দাবি সোহেল রানার

আপডেট টাইম : ১০:৩৮:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪

মুক্তিযোদ্ধা ও নায়ক সোহেল রানা সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে চলমান আন্দোলন নিয়ে নিজের দৃঢ় অবস্থান জানিয়েছেন। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দৃঢ় কণ্ঠে কোটা পদ্ধতি বাতিল ঘোষণা করেছেন তিনি।

সোমবার বিকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারা সম্মান পেয়েছে, সম্মানী পেয়েছে। ৩০ লাখ শহিদকে আমরা কী দিয়েছি উত্তর দিয়ে তারপর চিৎকার করুন। কোটা সিস্টেম বাতিল, সম্পূর্ণ বাতিল।’

ওই পোস্টের প্রায় সাত ঘণ্টা আগে তিনি লেখেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের নাম বারবার বলা হচ্ছে কেন? দেশ স্বাধীন হয়েছে ৫৩ বছর। তার সঙ্গে যদি আরও ১২ বছর যোগ করা হয় তাহলে তার বয়স হয় ৬৫। এই বয়সে তো নিশ্চয়ই কেউ চাকরির জন্য চেষ্টা করে না বা স্কুল-কলেজে ভর্তি হয় না। তাদের সন্তানদের বাবার জন্য কোটা সিস্টেমে চাকরি এবং ভর্তি হতে হবে, এটা মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করার শামিল। নিজ মেরিটে তারা ভর্তি হবে, পরীক্ষা দেবে এবং চাকরিতেও ইন্টারভিউ দেবে। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা কখনো এ ধরনের সুযোগ চাইনি, সম্মান যখন নেই, তখন এই ধরনের সুযোগ দিয়ে তার সন্তানদের সম্মান দেখানো একটা অপচেষ্টা মাত্র।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘সম্মানী দেওয়া ছাড়া তাদের জন্য আপনারা কী করেছেন মুখে মুখে? তাদের জন্য মায়াকান্না করেছেন। ড্রেস থেকে চিকিৎসা বা চলাফেরা কোনো কিছুতেই কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি তাই আমরা কখনোই কিছু চাইনি। জাতির পিতার নির্দেশে দেশ স্বাধীন করার দরকার ছিল, আমরা সেটাই করেছি। সর্বস্তরে এই কোটা সিস্টেম বাতিল করা হোক। এটা দেশের সবার দাবি।’

লেখক কাজী আনোয়ার হোসেনের চরিত্র মাসুদ রানা সিরিজের একটি গল্প অবলম্বনে ‘মাসুদ রানা’ সিনেমার নায়ক হিসেবে তার নাম হয় মাসুদ রানা। এই ছবির মাধ্যমে তিনি পরিচালক মাসুদ পারভেজ হিসেবে পরিচিতি পান। ১৯৭৪ সালে মুক্তি পায় ছবিটি।

শিক্ষাজীবনে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সোহেল রানা। ১৯৬৫ সালে বৃহত্তর ময়মনসিংহ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৬৬ সালে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের এজিএস, ১৯৬৮ সালে পুরো পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। ছাত্রলীগের তুখোড় এই নেতা ২০০৯ সালে যোগ দেন জাতীয় পার্টিতে। পরে প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নির্বাচনবিষয়ক উপদেষ্টাও হন তিনি।