নেত্রকোনা প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনার মদনে অবৈধ মোটরসাইকেল ছেড়ে দিতে সাংবাদিক পরিচয়ে পুলিশকে তদবির করেন হাবিবুর রহমান নামের এক ব্যাক্তি। তদবির না শুনায় মুজিবুর রহমান নামের একজন পুলিশ সদস্যকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী মুজিবুর রহমান এসআই পদে মদন থানায় কর্মরত রয়েছে। এ ঘটনায় সোমবার রাতে হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরী করেছেন তিনি।
অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান নেত্রকোনার মদন উপজেলার পরশখিলা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি সকালের সময়সহ বেশ কয়েকটি পত্রিকার প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ প্রেসক্লাব মদন উপজেলা শাখার সভাপতি বলে জানা গেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার চানগাও চকপাড়া নামক স্থানে অবৈধ যানবাহন বন্ধ করার লক্ষে অভিযান পরিচালনা করেন মদন থানার এসআই মুজিবুর রহমান। এ সময় উপজেলার জঙ্গল টেংগা গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে ওমর ফারুকের রেজিস্ট্রেশন বিহীন একটি মোটরসাইকেল আটক করা হয়। এ সময় চালক ওমর ফারুক কোন রকম কাগজপত্র দেখাতে না পাড়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়। কিছুক্ষণ পর এসআই মুজিবুর রহমানকে ফোন দিয়ে মোটরসাইকেলটি ছেড়ে দিতে বলেন সাংবাদিক হাবিবুর। মামলা হয়েছে বলে মোটরসাইকেল ছাড়তে পারবে না বলে জানায় পুলিশ। এতে হাবিবুর ক্ষিপ্ত হয়ে এসআই মুজিবুর রহমানকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। এ ঘটনায় রাতেই মদন থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন এসআই মুজিবুর রহমান।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক হাবিবুর রহমান জানান,‘আমার এক আত্মীয়র একটি মোটরসাইকেল ছেড়ে দেয়ার জন্য এসআই মুজিবুর রহমানকে বলেছিলাম। তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন। কিন্তু আমি তাকে কোন হুমকি দিইনি।’
মদন থানায় এসআই মুজিবুর রহমান জানান,‘একটি অবৈধ মোটরসাইকেল ছেড়ে দেয়ার জন্য হাবিবুর রহমান নামের একজন সাংবাদিক আমাকে ফোন করেন। কাগজ না থাকায় তাকে মামলা দেয়া হয়েছে বলে জানাই। কিন্তু তিনি মোটরসাইকেলটি ছাড়তে বলে আমাকে বার বার বলেন। গাড়ি না ছাড়লে আমাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন। ঘটনাটি আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করে সাধারণ ডায়েরি করেছি।
মদন থানার ওসি (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অবৈধ মোটরসাইকেল ছেড়ে দেওয়ার জন্য সাংবাদিক হাবিবুর তদবির করেন। মামলা হওয়ায় সে পুলিশের সাথে অসদাচারণ করেন। ঘটনাটি উর্ধ্বতস কর্তৃপক্ষকে অবগত করে থানায় ডায়েরী করা হয়েছে।
উল্লেখ্য হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে একাধিক চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে চাঁদাবাজির সত্যতা পেয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করেছেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এ.টি.এম. আরিফ।