শীতকালীন সবজিতে ভরপুর বাজার। কমতে শুরু করেছে অনেক সবজির দাম। গত সপ্তাহে যে আলু ১০০ টাকা ছিল সেটি এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। মুখে ঝাল লাগাতে কাঁচামরিচের প্রতি কেজির জন্য গুণতে হচ্ছে ৮০ টাকা। এভাবে প্রায় প্রতিটি সবজির দামে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মুহাম্মদপুর টাউন হল, রায়ের বাজার, ধানমন্ডি স্টাফ কোয়ার্টারসহ বেশকয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
ব্যবসায়ীরা জানান, গত সপ্তাহের তুলনায় আজকে সবজির দাম কিছুটা কমেছে। শীতকালীন সব সবজি বাজারে আসায় দামটা তুলনামুলকভাবে কমছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৪০-৫০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, ধুন্দল ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও পটোল ৪০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ২০ টাকা, গাজর ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৮০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, শিম ৪০ থেকে ৬০ টাকা, শালগম ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা, নতুন আলু ও পুরাতন আলু ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
এছাড়া ধনেপাতার আঁটি ১০ টাকা, পেঁয়াজের কালি ৬০ থেকে ৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আর মানভেদে প্রতি পিস ফুলকপি ২৫ থেকে ৪৫ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা এবং প্রতি পিস লাউয়ের জন্য গুণতে হচ্ছে ৫০ থেকে ৮০ টাকা। তবে ছোট বড় আকারের ওপরে এই তিন সবজির দাম নির্ধারণ হয়।
বাজারে লালশাকের আঁটি ১০ টাকা, পাটশাক ১০-১৫ টাকা, পুঁইশাক ২০-৩০ টাকা, মুলাশাক ১০ টাকা, ডাঁটাশাক ১০ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকা ও পালংশাক বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা আটিঁ।
মুহাম্মদপুর টাউন হলের বাজার করতে আসা আনোয়ার হোসেন বলেন, এখন বাজারে শীতকালীন সব সবজিই আছে। অনেক সবজির দাম কমেছে। তবে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য আরও কমলে ভালো হয়। আগে আমরা নতুন আলু এলে ২০ থেকে ৩০ টাকায় কিনে খেতাম। সেই তুলনায় এখন তা অনেক দাম। সব কিছুতেই সিন্ডিকেট কাজ করছে।
রায়ের বাজারের সবজি বিক্রেতা রমিজ মিয়া বলেন, আজকে পুরাতন আলু আর নতুন আলুর দামে কোনো পার্থক্য নেই। দুটোরই দাম ৫০ টাকা। বাজারে শীতকালীন সবজি আসা শুরু করেছে। আগামীতে আরও কমবে সবজির দাম।