ঢাকা ০৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ৯ মার্চ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:২১:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ২৮ বার

পাকিস্তানে আগামী ৯ মার্চ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের সূত্রের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই নিউজের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তফসিল শনিবার ঘোষণা করতে পারে।

ইসিপির একাধিক সূত্র বলেছে, কেন্দ্র এবং প্রদেশগুলোতে সরকার গঠনের সিনেট নির্বাচনের আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন। জাতীয় পরিষদের সদস্যদের শপথ গ্রহণের পর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন), বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ও অন্যান্য কয়েকটি দল জোটবদ্ধ হয়ে সরকার গঠন করছে। পিএমএল-এন ও পিপিপি জোটের শরিকদের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হবেন আসিফ আলি জারদারি।

সূত্র বলছে, আগামী ৯ মার্চ পাকিস্তানের ১৪তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পিপিপি ও পিএমএল-এন তাদের ক্ষমতা ভাগাভাগির আলোচনার সময় রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে আসিফ আলি জারদারির নাম প্রস্তাবের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছায়।

পাকিস্তানে গত ৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও কোনও দলই সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে পারেনি। সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমানে কারাবন্দি নেতা ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই)— ৯২টি আসন। পিটিআইয়ের পর এই তালিকায় যথাক্রমে রয়েছে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএলএন)— ৭৫টি আসন, পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)— ৫৪টি আসন, মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম)— ১৭টি আসন, জামায়াতে উলামায়ে ইসলাম- ফজলুর (জেইউআইএফ)—৪টি আসন এবং স্বতন্ত্রপ্রার্থীরা পেয়েছেন ৯টি আসন।

অর্থাৎ কোনো দলই এককভাবে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম আসন পায়নি। এই অবস্থায় জোট সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা শুরু হয় পিএমএলএন এবং পিপিপির মধ্যে। ১২ দিন ধরে আলোচনার পর ঐকমত্যে পৌঁছায় পিএমএলএন এবং পিপিপি। সিদ্ধান্ত হয়— পিএমএলএনের চেয়ারম্যান শেহবাজ শরিফ পাকিস্তানের নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবেন, আর রাষ্ট্রপতি হবেন পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পিতা ও দলটির কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলী জারদারি।

এদিকে নির্বাচনের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন জমা দিয়েছে ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই)। শুক্রবার দেশটির সর্বোচ্চ আদালতে পিটিআই এ সংক্রান্ত একটি পিটিশন জমা দিয়েছে।

পিটিশনে দলটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে মোট ১৮০টি আসনে জয়ী হয়েছে পিটিআই। কিন্তু কারচুপি ও জালিয়াতির মাধ্যমে মাত্র ৯২টি আসনে পিটিআই প্রার্থীদের জয়ী দেখানো হয়েছে। দলটিকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতে এই ‘ডাকাতি’ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে পিটিশনে।
খবর জিও নিউজ

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

পাকিস্তানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ৯ মার্চ

আপডেট টাইম : ১০:২১:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

পাকিস্তানে আগামী ৯ মার্চ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের সূত্রের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই নিউজের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তফসিল শনিবার ঘোষণা করতে পারে।

ইসিপির একাধিক সূত্র বলেছে, কেন্দ্র এবং প্রদেশগুলোতে সরকার গঠনের সিনেট নির্বাচনের আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন। জাতীয় পরিষদের সদস্যদের শপথ গ্রহণের পর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন), বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ও অন্যান্য কয়েকটি দল জোটবদ্ধ হয়ে সরকার গঠন করছে। পিএমএল-এন ও পিপিপি জোটের শরিকদের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হবেন আসিফ আলি জারদারি।

সূত্র বলছে, আগামী ৯ মার্চ পাকিস্তানের ১৪তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পিপিপি ও পিএমএল-এন তাদের ক্ষমতা ভাগাভাগির আলোচনার সময় রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে আসিফ আলি জারদারির নাম প্রস্তাবের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছায়।

পাকিস্তানে গত ৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও কোনও দলই সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে পারেনি। সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমানে কারাবন্দি নেতা ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই)— ৯২টি আসন। পিটিআইয়ের পর এই তালিকায় যথাক্রমে রয়েছে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএলএন)— ৭৫টি আসন, পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)— ৫৪টি আসন, মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম)— ১৭টি আসন, জামায়াতে উলামায়ে ইসলাম- ফজলুর (জেইউআইএফ)—৪টি আসন এবং স্বতন্ত্রপ্রার্থীরা পেয়েছেন ৯টি আসন।

অর্থাৎ কোনো দলই এককভাবে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম আসন পায়নি। এই অবস্থায় জোট সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা শুরু হয় পিএমএলএন এবং পিপিপির মধ্যে। ১২ দিন ধরে আলোচনার পর ঐকমত্যে পৌঁছায় পিএমএলএন এবং পিপিপি। সিদ্ধান্ত হয়— পিএমএলএনের চেয়ারম্যান শেহবাজ শরিফ পাকিস্তানের নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবেন, আর রাষ্ট্রপতি হবেন পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পিতা ও দলটির কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলী জারদারি।

এদিকে নির্বাচনের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন জমা দিয়েছে ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই)। শুক্রবার দেশটির সর্বোচ্চ আদালতে পিটিআই এ সংক্রান্ত একটি পিটিশন জমা দিয়েছে।

পিটিশনে দলটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে মোট ১৮০টি আসনে জয়ী হয়েছে পিটিআই। কিন্তু কারচুপি ও জালিয়াতির মাধ্যমে মাত্র ৯২টি আসনে পিটিআই প্রার্থীদের জয়ী দেখানো হয়েছে। দলটিকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতে এই ‘ডাকাতি’ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে পিটিশনে।
খবর জিও নিউজ