পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শিরশ্ছেদ করা উচিত ছিল মন্তব্য করে তোপের মুখে পড়েছেন নওয়াজ শরীফের দল পিএমএল-এন এর নেত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
এক সংবাদ সম্মেলনে মরিয়ম বলেন, ‘২০১৪ সালে যখন চীনের প্রেসিডেন্ট এসেছিলেন। ওই সময় ইমরানের শিরশ্ছেদ করা উচিত ছিল।’
২০১৪ সালে পাকিস্তানের ক্ষমতায় ছিল পিএমএলএন। ওই সময় তাদের ক্ষমতাচ্যুত করতে রাজধানী ইসলামাবাদে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ইমরান খান। আর মরিয়ম বলেছেন, ইমরান ও তার দলীয় নেতাদের যদি ওই সময়ই শিরশ্ছেদ করা হতো; তাহলে এখন তিনি আর ‘সমস্যার’ কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারতেন না।
এই মন্তব্যে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। পাকিস্তানের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কামাল ইউসুফ বলেছেন, রাজনীতিতে সহিংস বক্তব্যের কোনো স্থান নেই। সবাইকে মত প্রকাশের অধিকার দেওয়া উচিত। কিন্তু তাতে সহিংসতা থাকা উচিত নয়।
৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে সাধারণ পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৬০ ঘণ্টা পর প্রকাশিত ফলে দেখা যায়, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ১০২টি আসন, পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ৭৪টি এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ৫৪টি। এ ছাড়া মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএম) ১৭ আসনে জয়ী হয়েছে। অন্য দলগুলো পেয়েছে ১৭টি আসন। পাকিস্তানে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ১৩৪ আসন। কিন্তু কোনো দলই এই সংখ্যায় না পৌঁছানোয় জোট সরকার গঠনের পদক্ষেপ নেন দেশটির রাজনীতিবিদরা।
তবে এই নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পিটিআই, পিপিপি, জামায়াতে ইসলামী ও জমিয়াত উলেমা-ই-ইসলাম ফজল (জেইউআই-এফ) এর মতো দলগুলো।যুক্তরাষ্ট্রও পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষকে নিরপেক্ষ ও স্বাধীন কমিশন গঠন করে নির্বাচনের অভিযোগ নিয়ে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।