ঢাকা ১০:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের উপায় খোঁজার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৫৯:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৩৯ বার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এ সময় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের উপায় খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্স (এমএসসি) ২০২৪-এর সাইডলাইনে হোটেল বেয়েরিশার হফে এ দুই নেতার মধ্যে বৈঠক হয়।

বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় বলেন, আমরা সব ধরনের যুদ্ধের বিরুদ্ধে। আজ জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনার সময় কীভাবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করা যায়, সে বিষয়েও তিনি বারবার আলোচনা করেছেন।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে তারা গাজায় নিরপরাধ নারী-পুরুষের ওপর হামলা কীভাবে বন্ধ করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেন যে, যুদ্ধ কারও জন্য মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা বলেছেন, যুদ্ধের মাধ্যমে অন্যরা উপকৃত হতে পারে। কিন্তু, যুদ্ধ লিপ্ত দেশগুলোর জন্য তা কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না এবং তাদের জনগণকে যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়।’

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের মানুষের দুর্ভোগ এবং তিনি নিজেও যে দুর্ভোগের শিকার হয়েছিলেন, তার স্মৃতি স্মরণ করেন। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বন্দিদশায় অমানবিক কষ্ট এবং ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মের কথা স্মরণ করেন শেখ হাসিনা।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও জেলেনস্কির মধ্যে আলোচনায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি: ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়’ স্পষ্টভাবে উঠে আসে।

এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, স্বাধীনতার সময় বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে গড়ে ওঠা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।

তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই চমৎকার। মুক্তিযুদ্ধের সময় রাশিয়া আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং যুদ্ধের পর বাংলাদেশের পুনর্গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট শুধু যুদ্ধ বন্ধের জন্য আলোচনা করেছেন।

জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এবং প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি মো. নূর এলাহী মিনা ব্রিফিংকালে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন ২০২৪-এ যোগ দিতে তিন দিনের সরকারি সফরে ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় মিউনিখে পৌঁছেন। সফর শেষে প্রধানমন্ত্রীর রোববার রাতে মিউনিখ ত্যাগ করবেন। ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে তার।

তথ্যসূত্র: বাসস

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের উপায় খোঁজার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

আপডেট টাইম : ১০:৫৯:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এ সময় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের উপায় খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্স (এমএসসি) ২০২৪-এর সাইডলাইনে হোটেল বেয়েরিশার হফে এ দুই নেতার মধ্যে বৈঠক হয়।

বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় বলেন, আমরা সব ধরনের যুদ্ধের বিরুদ্ধে। আজ জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনার সময় কীভাবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করা যায়, সে বিষয়েও তিনি বারবার আলোচনা করেছেন।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে তারা গাজায় নিরপরাধ নারী-পুরুষের ওপর হামলা কীভাবে বন্ধ করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেন যে, যুদ্ধ কারও জন্য মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা বলেছেন, যুদ্ধের মাধ্যমে অন্যরা উপকৃত হতে পারে। কিন্তু, যুদ্ধ লিপ্ত দেশগুলোর জন্য তা কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না এবং তাদের জনগণকে যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়।’

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের মানুষের দুর্ভোগ এবং তিনি নিজেও যে দুর্ভোগের শিকার হয়েছিলেন, তার স্মৃতি স্মরণ করেন। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বন্দিদশায় অমানবিক কষ্ট এবং ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মের কথা স্মরণ করেন শেখ হাসিনা।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও জেলেনস্কির মধ্যে আলোচনায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি: ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়’ স্পষ্টভাবে উঠে আসে।

এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, স্বাধীনতার সময় বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে গড়ে ওঠা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।

তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই চমৎকার। মুক্তিযুদ্ধের সময় রাশিয়া আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং যুদ্ধের পর বাংলাদেশের পুনর্গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট শুধু যুদ্ধ বন্ধের জন্য আলোচনা করেছেন।

জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এবং প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি মো. নূর এলাহী মিনা ব্রিফিংকালে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন ২০২৪-এ যোগ দিতে তিন দিনের সরকারি সফরে ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় মিউনিখে পৌঁছেন। সফর শেষে প্রধানমন্ত্রীর রোববার রাতে মিউনিখ ত্যাগ করবেন। ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে তার।

তথ্যসূত্র: বাসস