দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে টানা চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে এখনো স্বাগত জানায়নি যুক্তরাষ্ট্র। তবে স্বাগত না জানালেও বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কাজ করা নিয়ে অবস্থান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার।
সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক চর্চা ও নির্বাচনের মানদণ্ড ইস্যুতে উদ্বেগ থাকলেও বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কাজ না করার বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর (ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট)।
ওয়াশিংটন ডিসিতে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, উদ্বেগ (গণতান্ত্রিক চর্চা, মানবাধিকার ইস্যুতে) থাকার অর্থ এই নয় যে, বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কাজ করার দায়িত্ব নেই। এর আগে
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু না বললেও নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহের কথা জানায়।
ব্রিফিংয়ে প্রশ্নোত্তর পর্বে এক সাংবাদিকের প্রশ্নোত্তরে মিলার বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে নিরাপত্তাবিষয়ক কয়েকটি খাতে কাজ করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র।
এগুলোর মধ্যে সন্ত্রাস মোকাবিলা, সীমান্ত নিরাপত্তা, সাইবার নিরাপত্তা, সমুদ্রসীমার নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা উল্লেখযোগ্য।
প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত না জানিয়ে এসব খাতে বাংলাদেশের নবনির্বাচিত সরকারের সঙ্গে বড় পরিসরে কাজ করা কীভাবে সম্ভব?’
জবাবে মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, আমি বলব, সারা বিশ্বজুড়েই আমাদের এ ধরনের (কূটনৈতিক) সম্পর্ক আছে। বাংলাদেশের নির্বাচনের ব্যাপারে আমাদের উদ্বেগ জানিয়েছি।
আমরা বাংলাদেশে ধরপাকড়ের বিরুদ্ধে উদ্বেগের কথা বলেছি। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, উদ্বেগের বিষয় এবং অভিন্ন অগ্রাধিকারের সম্ভাব্য সহযোগিতার খাতগুলোতে বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে আমাদের (ওয়াশিংটন) কাজ করার দায়িত্ব নেই।