মারলিন উত্তরাধিকারসূত্রে এংগেলহর্ন দাদি ত্রদেল এংগেলহর্ন–ভেচিয়াত্তের কাছ থেকে ২ কোটি ৫০ লাখ ইউরো পেয়েছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৩০০ কোটি টাকার সম্পদ। বর্তমানে ভিয়েনার বাসিন্দা ৩১ বছর বয়সি মারলিন এই অর্থ নিজে ভোগ না করে বিলিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, উত্তরাধিকারী পেতে অভিনব উপায় খুঁজছেন অস্ট্রিয়ার এই কোটিপতি। দাদি ত্রদেল এংগেলহর্ন–ভেচিয়াত্তের কাছ থেকে পাওয়া বিপুল পরিমাণের এ সম্পদ ব্যয় করার কোনো খাত খুঁজে না পাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
জার্মানির রাসায়নিক ও ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি বিএএসএফের প্রতিষ্ঠাতা ফ্রেডরিখ এংগেলহর্নের বংশধর মারলিন।
জানা গেছে, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে দাদি মারা যাওয়ার পর এংগেলহর্ন উত্তরাধিকার সূত্রে বিপুল পরিমাণ অর্থ পান। এই অর্থ নিজে ভোগ না করে বিলিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে তিনি গুড কাউন্সিল ফর রিডিস্ট্রিবিউশন নামে একটি উদ্যোগ নিয়েছেন। যেখানে অস্ট্রিয়ার নাগরিকদের অংশ নিতে বলেছেন।
মারলিন বলেন, আমি কোনো ধরনের শ্রম না দিয়েই উত্তরাধিকার সূত্রে বিপুল পরিমাণ সম্পদ ও ক্ষমতা পেয়েছি। আর রাষ্ট্র এ সম্পদের ওপর কোনো করও নিচ্ছে না। প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে অস্ট্রিয়া সরকার উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তির ওপর থেকে কর প্রত্যাহার করে নেয়। তাই এখন আর এসব সম্পত্তির ওপর কর দিতে হয় না।
এদিকে গত বুধবার ১৬ বা তার বেশি বয়সের ১০ হাজার মানুষকে মারলিনের এ উদ্যোগে অংশ নিতে আমন্ত্রণ পাঠানো হয়। এদের মধ্যে বিভিন্ন বয়সের, প্রদেশের, সামাজিক শ্রেণির এবং পেশার ৫০ জনকে বেছে নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
যাদের চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করা হবে তাদের নিয়ে নিয়মিত বৈঠক হবে জানিয়ে বলা হয়েছে, প্রতি সপ্তাহান্তে তারা প্রত্যেকে ১ হাজার ২০০ ইউরো পাবেন।
মারলিন বলেন, আমি আমার সম্পদ এই ৫০ জনের সামনে রাখছি এবং তাদের ওপর আস্থা রাখছি। যদি এ ৫০ জন অর্থ ব্যয়ের উপায় হিসেবে কোনো ধরনের সিদ্ধান্তে আসতে না পারেন, তবে এ অর্থ এংগেলহর্ন পরিবারের কাছেই আবার ফিরিয়ে দেওয়া হবে।