বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ঐক্যের আহ্বানে সাড়া না দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসাধারণ সুযোগ হারিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা ) সভাপতি শফিউল আলম প্রধান।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা পাঁচ শতাংশ ভোটারের ভোট পেয়ে ক্ষমতা দখল করেছেন। তারপর খালেদা জিয়া দেশের স্বার্থে ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছিলেন কিন্তু তিনি সে সুযোগ গ্রহণ করেননি। আশা করেছিলাম তিনি সুযোগ নেবেন। তিনি শুনলেন না। পাঁচ শতাংশকে বাদ দিয়েও ঐক্য হতে পারে।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয়তাবাদী দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন আয়োজিত ‘সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে বেগম খালেদা জিয়ার আহ্বান ও সরকারের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিউল আলম প্রধান বলেন, প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ঐক্যের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন। অথচ ৯৫ ভাগ জনগণ ভোট না দিয়ে জাতীয় ঐক্য করেছে। দখলদার সরকার প্রতিহত করতে জাতীয় ঐক্য করবো।
তিনি বলেন, সরকার অতল গহবরে নিমজ্জিত। কখনো আর বের হতে পারবে না। পদত্যাগ ছাড়া তাদের আর কোনো পথ নেই।
ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, দখলদার সরকার প্রধান (শেখ হাসিনা) নতুন নবী হিসেবে আভিভূত হতে চান। তিন লাখ মসজিদে খুতবা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। কয়েকদিন পর হয়তো নামাজও নির্ধারণ করে দেবেন!
প্রধান বলেন, একসময় মাদরাসার গরিব ছেলেদের জঙ্গি বলে অভিযোগ করা হতো। এখন প্রধানমন্ত্রীই বক্তব্য দিচ্ছেন অভিজাত পরিবারের সন্তান আর ইংলিশ মিডিয়ামের শিক্ষার্থীরা জঙ্গিদের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আল্লাহর মাইর শেষ রাতে। এখন আওয়ামী লীগের সন্তানরাই জঙ্গি হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, একদিন হয়তো দেখবেন আপনার একমাত্র সন্তান জয় জঙ্গিদের নেতা হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, জঙ্গিবাদের জননী হিসেবে আপনি গোপনে হয়তো জঙ্গিদের বলছেন বাবারা একটু বন্ধ রাখ। আমি বিপদে আছি। তাই কিছুদিন এমন কাজ বন্ধ থাকবে জেনে জাতীয় ঐক্যের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন।
এখনো দৃশ্যমান ঐক্য হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি ছাড়াও অাপনার ঐক্যে ড. কামাল হোসেন, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীও নেই। তাদের ডাকেননি কেন? তাহলে কাদের নিয়ে ঐক্য করলেন।