গাজায় অবিলম্বে সামরিক অভিযান স্থগিত করতে বাধ্য করায় দক্ষিণ আফ্রিকার একটি জরুরি আবেদনের প্রেক্ষিতে ইসরায়েলেকে বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) মুখোমুখি করা হবে। দেশটির প্রেসিডেন্টকে ‘নৃশংস’ ও ‘বিদ্বেষমূলক’ অভিহিত করে বরখাস্তের অভিযোগও করা হয়েছে।
নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে দুই দিন ধরে ওই শুনানি কার্যক্রম চলবে। আজ আদালতে নিজেদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করবে দক্ষিণ আফ্রিকা। পরদিন ১২ জানুয়ারি এর বিরুদ্ধে যুক্তি তুলে ধরবে ইসরায়েল।
গাজায় গেল ৭ অক্টোবর থেকে অব্যাহত বোমা হামলা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর অভিযোগে গেল ৩০ ডিসেম্বর আইসিজেতে মামলাটি দায়ের করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৮৪ পৃষ্ঠার নথিতে ইসরাইলি বাহিনীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ, যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা বা এ সম্পর্কিত অপরাধের সীমা লঙ্ঘন করার তথ্য-উপাত্ত দেয়া হয়।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে গাজায় ইসরায়েল নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে আসছে। উভয় দেশের দখলদার কর্মকর্তারা হেগের শান্তি প্রাসাদে গ্রেট হল অফ জাস্টিসে বিচারের মুখোমুখি হবেন।
ইসরায়েল জাতিসংঘের গণহত্যা কনভেনশনের ১৯৪৮ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তি লংঘন করছে বলে দক্ষিণ আফ্রিকা যুক্তি দেখিয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের উপর চালানো গণহত্যার (হলোকাস্ট) পর বিশ্ব ‘আর কখনো নয়’ ভয়েস তোলার প্রেক্ষিতে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তির সহ স্বাক্ষরকারী হিসেবে ইসয়েলকে দেশগুলোর মধ্যে বিরোধের নিয়ম লংঘন হিসেবে অভিহিত করে আন্তর্জাতিক আদালতের মুখোমুখি দাঁড় করায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
গণহত্যার দায়ে ইসরায়েলকে সুনির্দিষ্ট দায়িত্বহীনতার অভিযুক্ত করার পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকা গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার প্রাক্কালে হামাসের হামলার নিন্দা জানিয়েছে।