ঢাকা ০২:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝুঁকিতে গাজার ১১ লাখ শিশু

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:০৬:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৪
  • ৫৭ বার

জাতিসংঘ সতর্কবাণী করেছে, তিন মাসের সংঘাতে গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনি জনপদ বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে এবং এই অঞ্চলের ১১ লাখ শিশুর জীবন ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। গতকাল শনিবার সকালেও গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহর ওপর ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত ছিল। এই শহরে উত্তর গাজা থেকে পালিয়ে আসা হাজারো ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছেন। খবর বিবিসির।

ইসরায়েলি হামলায় গাজার বেসামরিক মানুষরাই মূলত ভোগান্তিতে পড়ছেন। জাতিসংঘ আরও জানায়, এই অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে এবং নানা সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়ে বড় আকারের মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

গাজার কেন্দ্রে অবস্থিত বুরেজি রিফিউজি ক্যাম্প থেকে পালিয়ে রাফাহ এসেছেন ফিলিস্তিনি নাগরিক আবু মোহাম্মেদ (৬০)। তিনি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, গাজার ভবিষ্যৎ ‘অন্ধকারাচ্ছন্ন, হতাশাজনক ও খুবই জটিল’।

সর্বাত্মক ও নির্বিচার হামলায় গাজার বেশির ভাগ স্থাপনাকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। এ পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের জরুরি মানবিক ত্রাণবিষয়ক সমন্বয়ক মার্টিন গ্রিফিথ বলেন, ‘গাজা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।’

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি জানান, গাজা উপত্যকার উত্তর, দক্ষিণ ও কেন্দ্রের সব অংশে ইসরায়েলি বাহিনী যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। বৈরুতে হামাসের এক শীর্ষ নেতা নিহত হওয়ার পর থেকে তারা লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে উচ্চ পর্যায়ের সতর্কাবস্থা বজায় রেখেছেন বলেও নিশ্চিত করেন হাগারি। ইসরায়েল এই হামলার দায় না নিলেও যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা এএফপিকে জানান, ইসরায়েলই এই হামলাটি পরিচালিত করেছে।

৭ অক্টোবর হামাস হামলা করেছিল ইসরায়েলে। এতে এক হাজার ১৪০ জন নিহত হয়, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক। পাশাপাশি হামাসের যোদ্ধারা প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে, যাদের মধ্যে ১২৯ জন এখনো গাজায় রয়েছে। অন্যদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন।

বদলা নিতে সেদিন থেকেই গাজায় সর্বাত্মক সামরিক হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। এ যুদ্ধে গাজায় ২২ হাজার ৭২২ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। অধিকাংশ এলাকা প্রায় ধুলার সঙ্গে মিশে গেছে, ২৩ লাখ বাসিন্দা গভীর মানবিক সংকটে পড়েছে।

অপরদিকে অধিকৃত পশ্চিম তীরেও চলছে সংঘাত। ৭ অক্টোবরের পর সেখানে প্রাণ হারিয়েছেন ৩২৫ ও আহত হয়েছেন অন্তত তিন হাজার ৮০০ ফিলিস্তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ঝুঁকিতে গাজার ১১ লাখ শিশু

আপডেট টাইম : ১১:০৬:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৪

জাতিসংঘ সতর্কবাণী করেছে, তিন মাসের সংঘাতে গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনি জনপদ বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে এবং এই অঞ্চলের ১১ লাখ শিশুর জীবন ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। গতকাল শনিবার সকালেও গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহর ওপর ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত ছিল। এই শহরে উত্তর গাজা থেকে পালিয়ে আসা হাজারো ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছেন। খবর বিবিসির।

ইসরায়েলি হামলায় গাজার বেসামরিক মানুষরাই মূলত ভোগান্তিতে পড়ছেন। জাতিসংঘ আরও জানায়, এই অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে এবং নানা সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়ে বড় আকারের মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

গাজার কেন্দ্রে অবস্থিত বুরেজি রিফিউজি ক্যাম্প থেকে পালিয়ে রাফাহ এসেছেন ফিলিস্তিনি নাগরিক আবু মোহাম্মেদ (৬০)। তিনি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, গাজার ভবিষ্যৎ ‘অন্ধকারাচ্ছন্ন, হতাশাজনক ও খুবই জটিল’।

সর্বাত্মক ও নির্বিচার হামলায় গাজার বেশির ভাগ স্থাপনাকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। এ পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের জরুরি মানবিক ত্রাণবিষয়ক সমন্বয়ক মার্টিন গ্রিফিথ বলেন, ‘গাজা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।’

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি জানান, গাজা উপত্যকার উত্তর, দক্ষিণ ও কেন্দ্রের সব অংশে ইসরায়েলি বাহিনী যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। বৈরুতে হামাসের এক শীর্ষ নেতা নিহত হওয়ার পর থেকে তারা লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে উচ্চ পর্যায়ের সতর্কাবস্থা বজায় রেখেছেন বলেও নিশ্চিত করেন হাগারি। ইসরায়েল এই হামলার দায় না নিলেও যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা এএফপিকে জানান, ইসরায়েলই এই হামলাটি পরিচালিত করেছে।

৭ অক্টোবর হামাস হামলা করেছিল ইসরায়েলে। এতে এক হাজার ১৪০ জন নিহত হয়, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক। পাশাপাশি হামাসের যোদ্ধারা প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে, যাদের মধ্যে ১২৯ জন এখনো গাজায় রয়েছে। অন্যদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন।

বদলা নিতে সেদিন থেকেই গাজায় সর্বাত্মক সামরিক হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। এ যুদ্ধে গাজায় ২২ হাজার ৭২২ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। অধিকাংশ এলাকা প্রায় ধুলার সঙ্গে মিশে গেছে, ২৩ লাখ বাসিন্দা গভীর মানবিক সংকটে পড়েছে।

অপরদিকে অধিকৃত পশ্চিম তীরেও চলছে সংঘাত। ৭ অক্টোবরের পর সেখানে প্রাণ হারিয়েছেন ৩২৫ ও আহত হয়েছেন অন্তত তিন হাজার ৮০০ ফিলিস্তিনি।