গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। বোমা হামলার মাঝেই ২৮ অক্টোবর থেকে শুরু করে স্থল অভিযান। এভাবে বলপ্রয়োগ করে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হাতে আটক ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্ত করার চেষ্টা চালায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে এবার সেই অবস্থান থেকে পিছু হটতে বাধ্য হলেন তিনি।
নেতানিয়াহু বলেছেন, বন্দিদের মুক্ত করার ব্যাপারে তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছেন। এমনকি তার স্ত্রী সারা বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করার জন্য পোপ ফ্রান্সিসকে এগিয়ে আসার বিনীত অনুরোধ করেছেন।
সোমবার তিনি ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটের বিশেষ অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে একথা জানান। নেতানিয়াহু বলেন, বন্দিদের মুক্ত করার জন্য ‘সব ধরনের প্রচেষ্টা’ চালানো হচ্ছে। তবে এর সাফল্যের জন্য ‘সামরিক চাপ’ প্রয়োজন বলে আবারও দাবি করেন তিনি।
নেসেটের ওই বিশেষ অধিবেশনে গাজায় আটক ইসরায়েলি বন্দিদের পরিবারের লোকজনকে দর্শক হিসেবে উপস্থিত থাকার সুযোগ দেওয়া হয়। তাদের উপস্থিতিতে নেতানিয়াহু বলেন, “আমরা যুদ্ধ বন্ধ করতে পারব না; তবে বন্দিদের মুক্ত করার জন্য আরও সময় প্রয়োজন।”
এ সময় দর্শক গ্যালারি থেকে বন্দিদের একজন স্বজন চিৎকার করে বলে ওঠেন, “আমরা আর সময় দিতে পারব না।” তার বক্তব্য সমর্থন করে বাকি স্বজনরা তখন দাঁড়িয়ে বলে ওঠেন, “এখন! এখন! এই মুহূর্তে!” তারা বলেন, এই মুহূর্তে বন্দিদের মুক্ত করে আনতে হবে।
এ সময় চরম বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে যান ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বন্দিদের মুক্ত করার ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার জন্য তিনি চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে শক্ত করে ধরেছেন। এমনকি তার স্ত্রী সারা গাজা থেকে ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্ত করে আনতে সাহায্য করার জন্য পোপ ফ্রান্সিসকে সবিনয় অনুরোধ জানিয়েছেন।
ইসরায়েলের অভ্যন্তরে পদত্যাগের জন্য প্রচণ্ড চাপের মুখে থাকা নেতানিয়াহু আরও বলেন, “আমরা বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত যুদ্ধ থামাচ্ছি না কারণ, আমাদের আর কোনও ভূমি বা অন্য কোনও পথ নেই।” সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল