ঢাকা ০৬:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টুনির ফোঁড়া

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৫২:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ৫৯ বার

কল্পনা আক্তার:

একতা এক বনে বাস করতো এক টুনটুনি। একদিন সে মনের সুখে নেচে নেচে গান গাইছিলেন। হঠাৎ কী যেন ব্যথা অনুভব হলো তার পায়ে, চেয়ে দেখেন বিরাট ফোঁড়া! টুনটুনি তো ফোঁড়ার ব্যথায় কাতর হয়ে পড়লেন, কি করবেন ভেবে পাই না। তার শরীরটা দিনদিন খারাপ হতে থাকে কি ভাবে সারবে তার ফোঁড়া? একে ওকে বলতে লাগলো। হঠাৎ টোনা তাকে বলল টুনি তোমার ফোঁড়া কাটতে হবে তুমি নাপিত এর কাছে যাও। এই কথা শুনে টুনি গেল নাপিত এর কাছে, নাপিত ভাই, নাপিত ভাই বাড়ি আছেন নি। কে রে আমায় ডাকে ? ভাই আমি টুনি, কি বলিস রে ছোট্ট টুনি ? নাপিত ভাই আমার পায়ের ফোঁড়া টা কেটে দাও না, কি বললি টুনি! আমি হলাম রাজার নাপিত আমি কাটবো তোর ফোঁড়া ? যা এখান থেকে। টুনি কেঁদে কেঁদে গেল রাজার কাছে। রাজা মশাই রাজা মশাই বাড়ি আছেন নি, কে রে তুই, আমি টুনি অনেক ব্যথা পায়ে বলেন কাটতে নাপিত কে ফোঁড়ার ব্যথাই টুনির জীবন যায়। রাজা হি হি করে হেসে দিল রাজার নাপিত কাটবে টুনির ফোঁড়া। টুনি এবার রেগে গেল  ইঁদুর এর কাছে ,ইঁদুর ভাই কোথাই তুমি যেতে হবে রাজার বাড়ি কাটতে হবে রাজার ভুঁড়ি।  না না  কাটবো না আমি রাজার ভুঁড়ি চলে যাও তুমি তারা তারি। করলো তো টুনি মন ভারি গেল তারাতারি বিড়াল এর বাড়ি। বিড়াল ভাই কোথাই তুমি জলদি চলো যাব ইঁদুর এর বাড়ি, খাইতে হবে ইঁদুর ধরি, পারবো না যাইতে ইঁদুর এর বাড়ি গভীর ঘুমে মগ্ন আমি। দুঃখে কষ্টে টুনি গেল লাঠির বাড়ি, লাঠি ভাই, লাঠি ভাই, আছে আমার অনেক কথা আগে ভাঙ্গতে হবে বিড়াল এর পা, বুঝছনি কথা? টুনির মনের ব্যথা। হাতে আমার অনেক কাজ তাই তো যাওয়া হবে না আজ। আবার টুনি গেল আগুন এর বাড়ি আগুন ভাই পুরবে লাঠি চলো এবার তাড়াতাড়ি  কাজে আমি ভীষণ ব্যাস্ত থাকি তাই যেতে পারবো না লাঠির বাড়ি। টুনি এবার ভীষণ হতাশ গেল সাগর এর কাছে সাগর  ভাই বাঁচাও প্রাণ সব আগুন নিভে। পারবো না নিভাতে আগুন যাও তুমি চলে। টুনি এবার হাতির কাছে বলে সাগর এর কথা হাতি বলে সব পানি খেলে যাব আমি মারা। টুনি এবার ছোট্ট প্রাণী মশার বাড়ি যায় সকল দুঃখ কষ্ট খুলে তারে কয়। মশার শুনে অনেক মায়া হয়, যাব এখনি হাতির বাড়ি সকল মশারে আনি বাড়ি। এর পরে মশা সকল মশারে খবর দিয়ে গেল হাতির বাড়ি ,সকল মশা ধরলো হাতকে  ঘিরে হাতি তখন বলে ছেড়ে দাও আমায় এখনি খাব সাগর এর সব পানি। হাতিকে দেখে সাগর বলে খেয়ো না আমার পানি ,এখনি নিভাবো আগুন আমি। সাগর কে দেখে আগুন বলে নিভীয় না আমায়, পুরাবো আমি লাঠি। আগুন দেখে লাঠি বলে পুরিয় না আমায় এখনি ভাঙ্গব আমি বিড়াল এর পা। লাঠি দেখে বিড়াল বলে মেরো না আমায়, ইঁদুর কে মারবো এখনি আমি। বিড়াল কে দেখে ইঁদুর বলে ধরোনো আমায় কাটবো আমি রাজার ভুঁড়ি। ইঁদুরকে দেখে রাজা ভয়ে ভয়ে বলে কেটো না আমার ভুঁড়ি ,নাপিত এর গড়দান কেটে নিব আমি। রাজার হুকুমে কেঁদে কেঁদে বলে রাজা মারবেন না আমায় ,টুনির ফোঁড়া কাটবো আমি। অবশেষে টুনটুনির ফোঁড়া কাটলো নাপিত ভাল হয়ে গেল টুনি। আবার নতুন করে নেচে গেয়ে সুখে জীবন পার করতে লাগলো টুনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

টুনির ফোঁড়া

আপডেট টাইম : ১১:৫২:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩

কল্পনা আক্তার:

একতা এক বনে বাস করতো এক টুনটুনি। একদিন সে মনের সুখে নেচে নেচে গান গাইছিলেন। হঠাৎ কী যেন ব্যথা অনুভব হলো তার পায়ে, চেয়ে দেখেন বিরাট ফোঁড়া! টুনটুনি তো ফোঁড়ার ব্যথায় কাতর হয়ে পড়লেন, কি করবেন ভেবে পাই না। তার শরীরটা দিনদিন খারাপ হতে থাকে কি ভাবে সারবে তার ফোঁড়া? একে ওকে বলতে লাগলো। হঠাৎ টোনা তাকে বলল টুনি তোমার ফোঁড়া কাটতে হবে তুমি নাপিত এর কাছে যাও। এই কথা শুনে টুনি গেল নাপিত এর কাছে, নাপিত ভাই, নাপিত ভাই বাড়ি আছেন নি। কে রে আমায় ডাকে ? ভাই আমি টুনি, কি বলিস রে ছোট্ট টুনি ? নাপিত ভাই আমার পায়ের ফোঁড়া টা কেটে দাও না, কি বললি টুনি! আমি হলাম রাজার নাপিত আমি কাটবো তোর ফোঁড়া ? যা এখান থেকে। টুনি কেঁদে কেঁদে গেল রাজার কাছে। রাজা মশাই রাজা মশাই বাড়ি আছেন নি, কে রে তুই, আমি টুনি অনেক ব্যথা পায়ে বলেন কাটতে নাপিত কে ফোঁড়ার ব্যথাই টুনির জীবন যায়। রাজা হি হি করে হেসে দিল রাজার নাপিত কাটবে টুনির ফোঁড়া। টুনি এবার রেগে গেল  ইঁদুর এর কাছে ,ইঁদুর ভাই কোথাই তুমি যেতে হবে রাজার বাড়ি কাটতে হবে রাজার ভুঁড়ি।  না না  কাটবো না আমি রাজার ভুঁড়ি চলে যাও তুমি তারা তারি। করলো তো টুনি মন ভারি গেল তারাতারি বিড়াল এর বাড়ি। বিড়াল ভাই কোথাই তুমি জলদি চলো যাব ইঁদুর এর বাড়ি, খাইতে হবে ইঁদুর ধরি, পারবো না যাইতে ইঁদুর এর বাড়ি গভীর ঘুমে মগ্ন আমি। দুঃখে কষ্টে টুনি গেল লাঠির বাড়ি, লাঠি ভাই, লাঠি ভাই, আছে আমার অনেক কথা আগে ভাঙ্গতে হবে বিড়াল এর পা, বুঝছনি কথা? টুনির মনের ব্যথা। হাতে আমার অনেক কাজ তাই তো যাওয়া হবে না আজ। আবার টুনি গেল আগুন এর বাড়ি আগুন ভাই পুরবে লাঠি চলো এবার তাড়াতাড়ি  কাজে আমি ভীষণ ব্যাস্ত থাকি তাই যেতে পারবো না লাঠির বাড়ি। টুনি এবার ভীষণ হতাশ গেল সাগর এর কাছে সাগর  ভাই বাঁচাও প্রাণ সব আগুন নিভে। পারবো না নিভাতে আগুন যাও তুমি চলে। টুনি এবার হাতির কাছে বলে সাগর এর কথা হাতি বলে সব পানি খেলে যাব আমি মারা। টুনি এবার ছোট্ট প্রাণী মশার বাড়ি যায় সকল দুঃখ কষ্ট খুলে তারে কয়। মশার শুনে অনেক মায়া হয়, যাব এখনি হাতির বাড়ি সকল মশারে আনি বাড়ি। এর পরে মশা সকল মশারে খবর দিয়ে গেল হাতির বাড়ি ,সকল মশা ধরলো হাতকে  ঘিরে হাতি তখন বলে ছেড়ে দাও আমায় এখনি খাব সাগর এর সব পানি। হাতিকে দেখে সাগর বলে খেয়ো না আমার পানি ,এখনি নিভাবো আগুন আমি। সাগর কে দেখে আগুন বলে নিভীয় না আমায়, পুরাবো আমি লাঠি। আগুন দেখে লাঠি বলে পুরিয় না আমায় এখনি ভাঙ্গব আমি বিড়াল এর পা। লাঠি দেখে বিড়াল বলে মেরো না আমায়, ইঁদুর কে মারবো এখনি আমি। বিড়াল কে দেখে ইঁদুর বলে ধরোনো আমায় কাটবো আমি রাজার ভুঁড়ি। ইঁদুরকে দেখে রাজা ভয়ে ভয়ে বলে কেটো না আমার ভুঁড়ি ,নাপিত এর গড়দান কেটে নিব আমি। রাজার হুকুমে কেঁদে কেঁদে বলে রাজা মারবেন না আমায় ,টুনির ফোঁড়া কাটবো আমি। অবশেষে টুনটুনির ফোঁড়া কাটলো নাপিত ভাল হয়ে গেল টুনি। আবার নতুন করে নেচে গেয়ে সুখে জীবন পার করতে লাগলো টুনি।