কাজী নজরুল ইসলামকে ২৪ মে ১৯৭২ সাল থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে বাংলাদেশের ‘জাতীয় কবি’ স্বীকৃতির গেজেট প্রকাশিত হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের বেড়তলায় মো. জেহাদ উদ্দিন প্রয়াস জাতীয় কবি নজরুল বিদ্যানিকেতনের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা আনন্দ র্যালি বের করে।
আজ সোমবার সকাল ১০টায় আনন্দ র্যালিটি বিদ্যানিকেতন থেকে শুরু হয় এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বেড়তলা বাজার পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে পুনরায় বিদ্যানিকেতনে এসে শেষ হয়।
আনন্দ র্যালির প্রাক্কালে বিদ্যানিকেতনের প্রতিষ্ঠাতা অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব, নজরুল গবেষক ও নজরুল ইনস্টিটিউট ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য মো. জেহাদ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের, প্রধান শিক্ষক ফারজানা মাহমুদ, সিনিয় শিক্ষক নাঈম দুর্জয়, বাবুল আহমেদ, আশরাফুল ইসলাম সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন।
মো. জেহাদ উদ্দিন বলেন, কাজী নজরুল ইসলামকে ১৯২৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর কলকাতার এলবার্ট হলে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জাতীয় কবি হিসেবে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। বিজ্ঞানাচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেই আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু। আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনসহ অতীতের সকল আন্দোলন-সংগ্রামের মতো ২০২৪ এর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানেও মূল প্রেরণা শক্তি ছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। তিনি আমাদের জাতীয় কবি হলেও তাঁকে ‘জাতীয় কবি’ ঘোষণা সংক্রান্ত সরকারি কোনো গেজেট নোটিফিকেশন ছিল না। বাংলাদেশের সংবিধানেও ‘জাতীয় কবি’ কাজী নজরুল ইসলামের উল্লেখ নেই। এটি জাতি হিসেবে আমাদের একটি ‘অপূর্ণত ‘ উল্লেখ করে জেহাদ উদ্দিন বলেন, ১৯৭২ সালের ২৪ মে থেকে কার্যকর করে জাতীয় কবির গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গোটা জাতির সুদীর্ঘকালের একটি প্রত্যাশা পূরণ করেছেন। এর ধারাবাহিকতায় তিনি সংবিধানেও জাতীয় কবির স্বীকৃতির প্রত্যাশা করেন।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মরণে ২০১৯ সালে এই বিদ্যানিকেতনটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
মো. আবু তাহের
সাধারণ সম্পাদক, পরিচালনা পর্ষদ