ফ্রান্সের জাতীয় দিবস ‘বাস্তিল ডে’ উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে দেশটির নিস শহরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ট্রাকচাপা দিয়ে ৮৪ জন হত্যার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা।
ডেইলি মেইল জানায়, নিস হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বারাক ওবামা বলেন, ‘মার্কিন জনগণের পক্ষ থেকে নিস শহরে বাস্তিল ডে উদযাপনে হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। হামলায় নিহতদের পরিবারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের সহমর্মিতা থাকবে। হামলার ঘটনার তদন্ত এবং হামলার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে সব ধরনের সহযোগিতা করবে যুক্তরাষ্ট্র।’
এক টুইটার বার্তায় নিস হামলার ঘটনায় নিজের ভাইস প্রেসিডেন্ট ঘোষণার সংবাদ সম্মেলন বাতিলের কথা জানান মার্কিন প্রসিডেন্ট নির্বাচনের রিপাবলিকান দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন এক বিবৃতিতে নিস হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘মার্কিন নাগরিকরা ফ্রান্সের প্রতি সহমর্মিতা জানাচ্ছে।’
সম্প্রতি হামলার ঘটনার সম্মুখীন হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের অরল্যান্ডো শহরের পুলিশ বিভাগ নিস হামলার ঘটনায় সহমর্মিতা জানিয়ছে।
বিবিসি জানায়, মঙ্গোলিয়ার উলানবাটরে আজ শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া এশিয়া-ইউরোপ শীর্ষ সম্মেলনের (আসেম) শুরুতেই নিস শহরে নিহতদের স্মরণে নীরবতা পালন করা হয়। ওই সম্মেলনে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল, ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জঁ-মার্ক এঁহু, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আসেমভুক্ত দেশগুলোর শীর্ষ নেতারা অংশ নিয়েছেন।
ব্রিটেনের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন এক টুইটার বার্তায় বলেন, নিস হামলা এবং সেখানে নিহতের ঘটনায় তিনি মর্মাহত।
টুইটার বার্তায় অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল নিস হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, বাস্তিল ডে আয়োজনে নিস শহরে হামলায় নিহতদের জন্য অস্ট্রেলিয়া শোকাহত।
মঙ্গোলিয়ায় অবস্থানরত চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং এক বিবৃতিতে সব ধরনের সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানান এবং ফ্রান্সের নিস শহরে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। এদিকে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে নিস হামলায় আহতদের মধ্যে দুজন চীনা নাগরিক থাকার কথা বলা হয়েছে।
নিস হামলার কয়েক ঘণ্টা পরই এক সংবাদ সম্মেলনে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ নিস শহরে নিহতদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জ্ঞাপন করেন। তিনি জানান, আহতদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ আরো বলেন, ফ্রান্সে সন্ত্রাসী হামলার হুমকি মোকাবিলায় পুলিশের সঙ্গে ১০ হাজার সেনাসদস্য থাকবে। একই সঙ্গে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে পুলিশকে সহায়তার আহ্বান জানান তিনি।