ঢাকা ০৭:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি, ঋণের চাপে ৩ কৃষকের আত্মহত্যা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৩৬:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ৭৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অসময়ের বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি হয়েছে, পানির নিচে চলে গেছে সদ্য রোপন করা আলুবীজ। ঋণের চাপে হাঁসফাস করা কৃষক বুঝতে পারছিলেন না এই ক্ষতি পোষাবেন কী করে। শেষ পর্যন্ত মৃত্যুকেই বেছে নিলেন। ঋণের বোঝা সইতে না পেরে এভাবে আত্মহত্যা করেছেন ভারতের তিন কৃষক। দেশটির সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণার কৃষক বাপি ঘোষ। শুক্রবার গভীর রাতে কীটনাশক খান তিনি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শনিবার রাতেচিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই নিয়ে রাজ্যে তিন দিনে তিন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন।

পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চড়া সুদে মোটা টাকা ঋণ নিয়ে আলুচাষ করেছিলেন বাপি ঘোষ। কিন্তু গত সপ্তাহের বৃষ্টিতে পানির নীচে চলে যায় জমি। যার ফলে চাষে ক্ষতির আশঙ্কায় বিষাদে ভুগতে শুরু করেন তিনি। বন্ধুদের কাছে তার আশঙ্কার কথাও জানান। কিন্তু চাপের মুখে তিনি যে চরম সিদ্ধান্ত নেবেন তা ভাবতে করতে পারেননি কেউ। ঋণ নিয়ে চাষ করে ক্ষতির আশঙ্কাতেই বাপি আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পরিবার।

এর আগেও গত সপ্তাহে দুইজন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস। বিরোধী দলের দাবি, কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এখনো কোনও ঘোষণা করেনি রাজ্য সরকার। এর ফলে আগামীতে আরও চাষি চাপের মুখে চরম সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি, ঋণের চাপে ৩ কৃষকের আত্মহত্যা

আপডেট টাইম : ১২:৩৬:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অসময়ের বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি হয়েছে, পানির নিচে চলে গেছে সদ্য রোপন করা আলুবীজ। ঋণের চাপে হাঁসফাস করা কৃষক বুঝতে পারছিলেন না এই ক্ষতি পোষাবেন কী করে। শেষ পর্যন্ত মৃত্যুকেই বেছে নিলেন। ঋণের বোঝা সইতে না পেরে এভাবে আত্মহত্যা করেছেন ভারতের তিন কৃষক। দেশটির সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণার কৃষক বাপি ঘোষ। শুক্রবার গভীর রাতে কীটনাশক খান তিনি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শনিবার রাতেচিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই নিয়ে রাজ্যে তিন দিনে তিন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন।

পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চড়া সুদে মোটা টাকা ঋণ নিয়ে আলুচাষ করেছিলেন বাপি ঘোষ। কিন্তু গত সপ্তাহের বৃষ্টিতে পানির নীচে চলে যায় জমি। যার ফলে চাষে ক্ষতির আশঙ্কায় বিষাদে ভুগতে শুরু করেন তিনি। বন্ধুদের কাছে তার আশঙ্কার কথাও জানান। কিন্তু চাপের মুখে তিনি যে চরম সিদ্ধান্ত নেবেন তা ভাবতে করতে পারেননি কেউ। ঋণ নিয়ে চাষ করে ক্ষতির আশঙ্কাতেই বাপি আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পরিবার।

এর আগেও গত সপ্তাহে দুইজন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস। বিরোধী দলের দাবি, কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এখনো কোনও ঘোষণা করেনি রাজ্য সরকার। এর ফলে আগামীতে আরও চাষি চাপের মুখে চরম সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।