জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বাংলাদেশের সঙ্গে থাকার সংকল্প ও সংহতি প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশে চলমান প্রকল্পগুলোতে সরকারি উন্নয়ন সহযোগিতা এবং বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলার তথ্য বিনিময়ের বিষয়ে আশ্বস্ত করেন তিনি।
আজ শুক্রবার মঙ্গোলিয়ার রাজধানীর উলানবাটরের আসেম সম্মেলনের ফাঁকে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম তাঁদের মধ্যে আলোচনার বিষয়বস্তু সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন। বৈঠকে শেখ হাসিনা জাপানের প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী হামলার শিকড় খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
ইহসানুল করিম বলেন, গুলশান হামলায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি ও সংহতি দেখানোর জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী। বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে শিনজো আবে বলেন, ‘আসেম সম্মেলন শক্তিশালী বার্তা দেবে, আমরা সন্ত্রাস সহ্য করব না।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাম্প্রতিক গুলশান হামলার শিকার জাপানি নাগরিকদের জন্য আবারও শোক প্রকাশ করেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘গুলশান হামলার ঘটনায় যাঁরা জীবন হারিয়েছেন, জাপান ও বাংলাদেশের মানুষগুলোর পাশাপাশি কয়েকটি বন্ধুপ্রতিম দেশের সেই মানুষগুলো বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজ করছিলেন।’
জাপান প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাপানকে আমরা পরীক্ষিত বন্ধু ও উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করি।’ মানুষের জানমালের নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘জাপানি নাগরিকসহ যাঁরা বাংলাদেশে বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করছেন, তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমি সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছি।’
এ সময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদ, পররাষ্ট্রসচিব শহীদুল হক, মঙ্গোলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ফজলুল করিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।