ঢাকা ১২:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সব মসজিদের জন্য জুমার খুতবা পাঠাবে ইসলামিক ফাউন্ডেশন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:২১:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ জুলাই ২০১৬
  • ৪৮৮ বার

বাংলাদেশে এখন থেকে শুক্রবার জুমার নামাজের খুতবা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্বাবধানে লেখা হবে, এবং তা দেশের মসজিদে মসজিদে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে তৈরি প্রথম খুতবাটি আগামিকাল বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পড়া হবে।
ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এটি দেশের সমস্ত মসজিদেও পাঠানো হয়েছে। বাধ্যবাধকতা না থাকলেও, এটি অনুসরণ করতে ইমামদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি ঢাকায় পর পর দুটো সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষাপটে, সরকার মসজিদের খুতবা নজরদারির সিদ্ধান্ত নেয়।
তার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয়ভাবে খুতবা রচনার এই উদ্যোগ নেয়া হলো।
ঠিক কিভাবে এটা কাজ করবে — জানতে চাইলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক শামিম মহম্মদ আফজাল বিবিসি বাংলাকে জানান, জাতীয় মসজিদের পেশ ইমামের নেতৃত্বে পনের জনের একটি প্যানেল আছে।
তারা খুতবাটি তৈরি করেছেন এবং এতে জঙ্গীবাদ এবং সন্ত্রাস সম্পর্কে সতর্কবার্তা আছে। এসবের সঙ্গে যে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই, তা কোরান এবং হাদিসের আলোকে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করে খুতবাটি তৈরি করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, প্রতি সপ্তাহে একই ভাবে কোরান হাদিসের আলোকে আরও খুতবা তৈরি করা হবে এবং বাংলাদেশের তিন লাখ মসজিদের খতিবদের তা অনুসরণে উৎসাহিত করা হবে।
শামিম মহম্মদ আফজাল জানান, এই খুতবা অনুসরণের জন্য কোন বাধ্যবাধকতা থাকবে না। তবে তিনি আশা করেন যারা ‘অন্তরে ইসলামকে লালন করেন’, তারা এই খুতবা অনুসরণ করবেন।
তিনি আরও জানান, মধ্যপ্রাচ্যের সবদেশে এবং ইরানে ও মালয়েশিয়াতেও এভাবে সরকারিভাবে খুতবা তৈরি করে মসজিদে দেয়া হয়। কিন্তু বাংলাদেশ, ভারত বা পাকিস্তানে এই পদ্ধতি এখনো চালু হয়নি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সব মসজিদের জন্য জুমার খুতবা পাঠাবে ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আপডেট টাইম : ১২:২১:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ জুলাই ২০১৬

বাংলাদেশে এখন থেকে শুক্রবার জুমার নামাজের খুতবা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্বাবধানে লেখা হবে, এবং তা দেশের মসজিদে মসজিদে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে তৈরি প্রথম খুতবাটি আগামিকাল বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পড়া হবে।
ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এটি দেশের সমস্ত মসজিদেও পাঠানো হয়েছে। বাধ্যবাধকতা না থাকলেও, এটি অনুসরণ করতে ইমামদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি ঢাকায় পর পর দুটো সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষাপটে, সরকার মসজিদের খুতবা নজরদারির সিদ্ধান্ত নেয়।
তার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয়ভাবে খুতবা রচনার এই উদ্যোগ নেয়া হলো।
ঠিক কিভাবে এটা কাজ করবে — জানতে চাইলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক শামিম মহম্মদ আফজাল বিবিসি বাংলাকে জানান, জাতীয় মসজিদের পেশ ইমামের নেতৃত্বে পনের জনের একটি প্যানেল আছে।
তারা খুতবাটি তৈরি করেছেন এবং এতে জঙ্গীবাদ এবং সন্ত্রাস সম্পর্কে সতর্কবার্তা আছে। এসবের সঙ্গে যে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই, তা কোরান এবং হাদিসের আলোকে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করে খুতবাটি তৈরি করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, প্রতি সপ্তাহে একই ভাবে কোরান হাদিসের আলোকে আরও খুতবা তৈরি করা হবে এবং বাংলাদেশের তিন লাখ মসজিদের খতিবদের তা অনুসরণে উৎসাহিত করা হবে।
শামিম মহম্মদ আফজাল জানান, এই খুতবা অনুসরণের জন্য কোন বাধ্যবাধকতা থাকবে না। তবে তিনি আশা করেন যারা ‘অন্তরে ইসলামকে লালন করেন’, তারা এই খুতবা অনুসরণ করবেন।
তিনি আরও জানান, মধ্যপ্রাচ্যের সবদেশে এবং ইরানে ও মালয়েশিয়াতেও এভাবে সরকারিভাবে খুতবা তৈরি করে মসজিদে দেয়া হয়। কিন্তু বাংলাদেশ, ভারত বা পাকিস্তানে এই পদ্ধতি এখনো চালু হয়নি।