হাওর বার্তা ডেস্কঃ ৭ অক্টোবর থেকে গাজাকে অবরুদ্ধ করে নির্বিচার বোমা হামলা চালিয়ে আসছে ইসরাইল। পাশাপাশি তারা গাজায় স্থল অভিযানও চালাচ্ছে।
স্থলপথে অভিযান চালাতে দক্ষিণ গাজায় ঢুকে পড়েছে ইসরাইলি বাহিনী। আকাশপথে হামলার পাশাপাশি ট্যাংক নিয়ে সেখানে অভিযান চালানো হচ্ছে। গাজা নগরীতে হামাসের একজন কমান্ডারকে হত্যার কথা জানিয়েছে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী।
ইসরাইলের সেনাবাহিনী পরিচালিত রেডিওতে বলা হয়েছে, খান ইউনিসের উত্তরাঞ্চলে অভিযান চালানো হচ্ছে। খান ইউনিসের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে স্থল হামলায় অংশ নেওয়া একটি ট্যাংকের ছবি বিবিসির কাছে এসেছে। বিবিসি ওই ছবির সত্যতা যাচাই করে দেখেছে।
পরে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান (আইডিএফ) লেফটেন্যান্ট জেনারেল হেরজি হালেভি সেনাদের উদ্দেশে বলেছেন, ইসরাইলি সেনারা দক্ষিণ গাজায় ‘দৃঢ় ও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে’ লড়াইয়ে অংশ নিয়েছে।
তিনি বলেন, আগে আমরা উত্তর গাজায় জোরালো ও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে লড়াই করেছি। এখন দক্ষিণ গাজায় তা করা হচ্ছে।’
আইডিএফের প্রধান দাবি করেন, ইসরাইলের সেনারা গাজায় হামাসের একজন কমান্ডারকে হত্যা করেছে। ওই ব্যক্তি গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলার পেছনে জড়িত ছিলেন।
গাজায় ইসরাইলের টানা ৪৭ দিনের হামলার পর গত ২৪ নভেম্বর প্রথম দফায় চার দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এ যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করে কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্র। দুই দফায় মোট তিন দিন বাড়ানো হয় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ।
যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে আন্তর্জাতিক চাপ ও হামাসের পক্ষ থেকে নতুন করে প্রস্তাব দেওয়া সত্ত্বেও রাজি হয়নি ইসরাইল। শুক্রবার সকাল থেকে গাজায় আবার হামলা শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী।
এর আগে উত্তর গাজায় অভিযানের সময় গাজাবাসীকে দক্ষিণে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইসরাইল। সেখানকার বাসিন্দাদের বেশিরভাগই তখন দক্ষিণাঞ্চলে আশ্রয় নেয়। এখন দক্ষিণ গাজায়ও ইসরাইল হামলা জোরদার করেছে। চালানো হচ্ছে স্থল অভিযান। এর ফলে পুরো গাজা এখন কার্যত অনিরাপদ হয়ে পড়েছে।