অধ্যক্ষ ড. গোলসান আরা বেগমঃ
অবাধ্য আমি-মা তুমি জানতে
কেন খাঁচায় ভরে রাখোনি
চেষ্টা করেছ চূল টেনে ধরে
পোষ মানাতে পারোনি।
অবাধ্য আমি- বাবা বলতো
মেয়েটা আমার কালো মানিক
ওকে উড়তে দাও,লড়তে দাও
ফুলের ভুবনে হবে মানবিক।
অবাধ্য আমি খেলার মাঠে
হাত তুলে মিছিলের অগ্রভাগে
মা তুমি কেন করতে না মানা
দেখিস না স্বপ্ন রাত জেগে।
নূনের কৌটা পানের ভাটা
হাড়ি পাতিলে হাত ঘুরাই
সন্তানের স্নেহ সুখ রাজত্বে
শান্তুির মুখ কোথাও নাই।
অবাধ্য আমি- বরাবরই উশৃঙ্ক্ষল
কারো মাথায় কাঁঠাল ভাঙ্গার স্বভাব
খেলেছি গোল্লাছুট ছেলেদের খেলা
ছিলো মেয়েলী কোমলতার অভাব।
তাইরে নাইরে করে ঘুরে বেড়াই
দৌড়ে স্রোতাবাহি নদীতে নামি
ছেলেরা আমার খেলার সাথী
উড়ে গিয়ে গাছের মগডালে থামি।
কেউ ইট পাটকেল ছুঁড়ে মারলে
কাঁপিয়ে তুলি পুরো আকাশটা
ভেঙ্গে দেই অসাধ্যের দেয়াল
গর্জনে তর্জনে অবাধ্য আমিটা।
শত অত্যাচার অবহেলা ঠেলে
বৈতরনী পার হই কংক্রিট ভেঙ্গে
চপেটাঘাত করি দূর্ভাগ্যের কপালে
ঘৃনার আগুন জ্বলে সারা অঙ্গে।
আঁচল টেনে ধরে মা বলে
এবার মাটিতে চোখ নামাও
দুশ্চিন্তাগ্রন্থ বাবা কি করবে
তার নীরবতা বলে এগিয়ে যাও।
কেন অবাধ্য, অবাধ্য হয়েছি
কেউ কি জানে না তা, জানে
নারীর পাথর কষ্টের হাহাকার
ভেতরের সিংহ,ভেঙ্গেচুরে টানে।