বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে গতকাল শনিবার খবরের শিরোনাম হয়েছে ‘পরীমণির প্রথম স্বামী মারা গেছেন’। শুক্রবার ভোরে ঢাকা-ভাঙ্গা মহাসড়কের শিবচরের পাচ্চর এলাকায় একটি দুর্ঘটনা ঘটে। যেখানে মারা যান ইসমাইল হোসেন জমাদ্দার (৪২) নামের এক ব্যক্তি।
ইসমাইল জমাদ্দার মঠবাড়িয়া উপজেলার মিরুখালী ইউনিয়নের ছোট শৌলা গ্রামের ব্যাংক কর্মকর্তা জাকির হোসেন জমাদ্দারের ছেলে। ইসমাইলের চাচা কবির হোসেন জমাদ্দার জানান, ২০১২ সালের ২৮ এপ্রিল শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমণির সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল।
ভাইরাল এই সংবাদ দেখে বিরক্ত, ক্ষুব্ধ আলোচিত পরীমণি। তার ভাষ্য, ‘কারও মৃত্যু তো হাসি-তামাশার বিষয় নয়। ইসমাইলের মৃত্যু নিয়ে যে, যেভাবে পারছেন খবর প্রকাশ করেছেন। উৎসব উৎসব ভাব মনে হচ্ছে। এটা সত্যিই কষ্টদায়ক। এমনটা মোটেও আশা করিনি।’
ইসমাইলের সঙ্গে তার সম্পর্কের বিষয়ে মুখ না খুললেও নায়িকা বলেন, ‘ইসমাইল হোসেন জনি আমাদের আত্মীয়। আমার খালাতো ভাই। আমরা একসঙ্গে বেড়ে উঠেছি। বয়সে যদিও আমার চেয়ে ৫-৬ বছরের বড়, তারপরও আমাদের সম্পর্কটা ছিল খুবই চমৎকার।’
কথায় কথায় পরী আরও বলেন, ‘এবার বাড়িতে আসার পরই আমার মা (খালাকে মা বলে ডাকেন পরীমণি) বললেন, “ও (ইসমাইল) তো বাইক অ্যাক্সিডেন্ট করছে।” আমি বললাম, কী! পরে আবার মা বললেন, “ও তো মারা গেছে!” এলাম নানুভাইয়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে, এসে শুনি ইসমাইলের মৃত্যুর খবর! এটা মেনে নেওয়া যে কতটা কষ্টের, বলে বোঝাতে পারব না।’’
কবর জিয়ারত করেছেন জানিয়ে পরী বলেন, ‘আমি সাধারণত মৃত মানুষের মুখ দেখতে পারি না। এই জীবনে একমাত্র নানুভাইয়ের মরা মুখটাই শুধু দেখতে পেরেছি। আর কারোটা দেখা সম্ভব হয়নি। ইসমাইলেরও দেখা সম্ভব হয়নি। কবর জিয়ারত করেছি। সেই কবরস্থানে পাশাপাশি আমাদের পরিবারের অনেকগুলো কবর। সবচেয়ে নতুন কবর, ইসমাইলের। ওর বাবাসহ আমরা কবর জিয়ারতে গেছি। সবকিছু ছাপিয়ে সে তো আমার আত্মীয়। তাই তার সঙ্গে আমার সম্পর্কও তো সব সময়ের।’
এদিকে ইসমাইলের চাচা কবির হোসেন জমাদ্দার বলেন, ‘ইসমাইল পরীমণির প্রথম স্বামী ছিলেন। তবে তাদের তালাকের পরে ইসমাইল আবারও বিয়ে করেছিলেন। সেই ঘরে তার স্ত্রী ও দুটি সন্তান রয়েছে।’
যদিও পরীর পরিবারে এই বিয়ের বিষয়টি সবসময়ই এড়িয়ে গেছেন।