হাওর বার্তা ডেস্কঃ ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের বোমা হামলায় অব্যাহত রয়েছে। এতে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ১১ হাজার ২০০ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় গাজা ও পশ্চিম তীর মিলে নিহত ছাড়িয়েছে ১১ হাজার ২০০।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে দেশটি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা ও পশ্চিম তীর মিলে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ২০৮ জনে। আহত হয়েছে আরও অন্তত ২৯ হাজার ৫০০ জন।
এদিকে, ইসরায়েলের নারকীয় তাণ্ডবে বাকরুদ্ধ পুরো বিশ্ব। দেশে দেশে বাড়ছে ইসরায়েল বিদ্বেষ। গার্ডিয়ান, বিবিসি ও সিএনএন সূত্রে জানা গেছে- জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্সসহ কানাডাসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত ইহুদিরাও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। মানুষের ক্ষোভ এবং ঘৃণার শিকার হচ্ছেন তারা।
বিশেষ করে ইসরায়েলি কর্মকাণ্ডে সবচেয়ে বেশি ঘৃণা ছড়িয়েছে জার্মানিতে। দেশটিতে রাস্তাঘাটে রীতিমতো মুখ লুকিয়ে বা পরিচয় গোপন করে হাঁটতে হচ্ছে তাদের। চলমান ইসরায়েল ও হামাস সংঘাত জার্মানিতে সামাজিক বিভেদ ঘটিয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি বাহিনীর ভয়ে ইহুদিরা যেমন পালিয়ে বেড়িয়েছে তেমনি এখনো অনেকে মুখ লুকিয়ে আছে। ইহুদি পুরুষরা তাদের ঐতিহ্যবাহী জিনিসপত্র জনসমক্ষে আনছেন না। গত ১৮ অক্টোবর জার্মানির রাজধানী বার্লিনে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের একটি সিনাগগে (ধর্মীয় উপাসনালয়) পেট্রোল বোমা ছোড়ার ঘটনাও ঘটেছে।
গত ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। হামাসের হামলার পর গাজায় বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। অব্যাহত বোমাবর্ষণের মধ্যেই এবার সেখানে বড় ধরনের স্থল হামলা শুরু করেছে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা।