২৬ মিনিটে কক্সবাজার থেকে রামুতে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কক্সবাজারের আইকনিক রেলস্টেশন উদ্বোধনের পর ট্রেনে চেপে ২৬ মিনিটে কক্সবাজার থেকে রামু পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার দুপুরে দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধনের পর আইকনিক রেলস্টেশনে প্রবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তার আগে রেলপথ মন্ত্রী, রেল সচিব এবং রেলের মহাপরিচালক প্রধানমন্ত্রীকে নতুন স্টেশনটি ঘুরিয়ে দেখান।

বেলা ১টা ২০ মিনিটের দিকে আইকনিক রেলস্টেশনের প্রথম যাত্রী হিসেবে টিকেট কাটেন শেখ হাসিনা। এরপর প্ল্যাটফর্মে থাকা ট্রেনের কাছে যান তিনি। সেখানে রেলের নিয়ম অনুসারে, সবুজ পতাকা নেড়ে ট্রেন ছাড়ার সংকেত দেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর বাঁশিতে ফু দিয়ে ট্রেন ছাড়ার আগে ‌‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন প্রধানমন্ত্রী।

বেলা ১টা ২৮ মিনিটে কক্সবাজার স্টেশন থেকে ট্রেনটি রামুর উদ্দেশে রওনা হয়। বেলা ১টা ৫৪ মিনিটে ট্রেনটি রামু স্টেশনে পৌঁছায়। ২৬ মিনিটের ট্রেন যাত্রায় অন্য বগিতে থাকা যাত্রীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী।

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, রেলপথ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রেলযাত্রায় ছিলেন।

ট্রেন চলাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের বলেন, ‘মানুষের কল্যাণে কাজ করব এর চেয়ে আনন্দের আর কিছু নেই। দীর্ঘদিনের দাবি ছিল কক্সবাজার রেলপথ। কক্সবাজারের আমাদের দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত আছে। অথচ পর্যটনকেন্দ্রটা ভালোভাবে গড়ে তুলতে পারিনি।’

মহেশখালী একেবারে অবহেলিত ছিল জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ‘বিদ্যুৎকেন্দ্র, গভীর সমুদ্রবন্দর ও অর্থনৈতিক অঞ্চল করছি। ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের সঙ্গে সংযুক্ত হব, এটাই লক্ষ্য। এসব বিবেচনা করে রেলপথ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। যেহেতু দোহাজারী পর্যন্ত রেলপথ আগেই ছিল। রামু থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত যাবে। দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে যাতে এই রেলপথ সংযুক্ত হয় সে ব্যবস্থা করব।’

কক্সবাজার পথে রেল চলাচল মানুষের যাতায়াতের পাশাপাশি পর্যটন, পণ্য পরিবহন এবং অর্থনীতি ও জিডিপিতে অবদান রাখবে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর