হাওর বার্তা ডেস্কঃ হিজাব না পরার কারণে নিষেধাজ্ঞার কবলে পরেছেন ২০ ইরানি অভিনেত্রী। দেশটির সংস্কৃতি ও ইসলামি নির্দেশনা মন্ত্রণালয় অভিনেত্রীদের নাম প্রকাশ করে জানায়, হিজাব পরে বাইরে বের না হওয়ায় তারা কাজ করতে পারবেন না৷
এই অভিনেত্রীদের মধ্যে আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত অভিনেত্রী তারানেহ আলিদুস্তি রয়েছেন৷ ২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়া ‘দ্য সেলসম্যান’ মুভিতে তিনি অভিনয় করেন৷ চলচ্চিত্রটির পরিচালক আসগার ফারহাদি সেরা বিদেশি ভাষার মুভি ক্যাটাগরিতে অস্কার জিতেছিলেন৷
সংস্কৃতি ও ইসলামি নির্দেশনা বিষয়ক মন্ত্রী মোহাম্মদ মেহদি এসমাইলি জানান, বাধ্যতামূলক হিজাব আইন না মানায় তাদের সঙ্গে কাজ করা সম্ভব ছিল না৷
আলিদুস্তি আগে হেডস্কার্ফ পরতেন৷ বিদেশে গেলেও এর ব্যতিক্রম করতেন না৷ কিন্তু গতবছর নীতি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনার পর তিনি এই অবস্থান থেকে সরে আসেন।
কঠোর পোশাকবিধির আওতায় ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে মাহসা আমিনি নামের ২২ বছর তরুণীকে আটক করে ইরানে নৈতিক পুলিশ। একাধিক প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানে ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে যে পুলিশি হেফাজতে পেটানো হয়েছিল তাকে। সেই মারধরে তার মৃত্যু হয়। এরপর ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে ইরান। সমালোচনার ঝড় ওঠে বিশ্বজুড়ে।
সেই সময় বিক্ষোভের প্রতি সমর্থন জানাতে আলিদুস্তি ইনস্টাগ্রামে তার একটি ছবি প্রকাশ করেছিলেন, যেটিতে তার মাথায় হিজাব ছিল না৷ আর তার হাতে ধরা কাগজে লেখা ছিল ‘নারী, জীবন, স্বাধীনতা’৷ ছবিটি প্রকাশের পর আলিদুস্তিকে আটক করা হয়েছিল৷ দুই সপ্তাহ পর তিনি জামিনে ছাড়া পান৷
এবার এক বছরের বেশি সময় পর আলিদুস্তির কাজে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। প্রতিক্রিয়ায় আলিদুস্তি সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘আমি তোমাদের হেডস্কার্ফ পরার বাধ্যবাধকতা মানবো না, যেটা থেকে এখনও আমার বোনদের রক্তে ঝরছে৷’