ঢাকা ০৭:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন মাইক পেন্স

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:৩৬:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৩
  • ৬৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আসন্ন ২০২৪ সালের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থিতার দৌড় থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন দেশটির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শীর্ষ রিপাবলিকান নেতা মাইক পেন্স। শনিবার লাস ভেগাসে রিপাবলিকান ইহুদি জোটের এক অনুষ্ঠানে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন তিনি।

৬৪ বছর বয়সী মাইক পেন্স বলেন, সব সময় জানতাম যে, এমন সিদ্ধান্ত নেওয়াটা খুব কঠিন হবে। কিন্তু আমার কোনো আফসোস নেই। আমি প্রার্থিতার প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। তবে রিপাবলিকান মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা থেকে নয়।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়নের জন্য রিপাবলিকানদের সমর্থন আদায়ে ব্যর্থ হন মাইক পেন্স। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন পরিচালনার জন্য আর্থিকভাবেও খুব বেশি ভালো অবস্থানে ছিলেন না তিনি। তার ঋণের পরিমাণ বেশ বড়। গত সেপ্টেম্বরে তার তহবিলে ৬ লাখ ২১ হাজার ডলার এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ছিল ১২ লাখ ডলার, যা অন্যান্য প্রার্থীর তুলনায় কম।

গত জুন মাসে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে লড়াইয়ে নামেন পেন্স। ৫ জুন রিপাবলিকান প্রার্থিতার জন্য কাগজপত্র দাখিল করেন তিনি। তবে দলীয় সমর্থন ও শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সাড়া সেভাবে না পাওয়ায় তৃতীয় প্রেসিডেন্ট বির্তকের আগেই সরে দাঁড়ালেন সাবেক এই ভাইস প্রেসিডেন্ট। রিপাবলিকান শিবির থেকে পেন্সই প্রথম মনোনয়নের প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়ালেন।

তবে অন্য কোনো রিপাবলিকান প্রার্থীর প্রতি এখনো সমর্থন জানাননি মাইক পেন্স। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের কাছে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, এমন একজন নেতাকে খুঁজে বের করা উচিত, যিনি সত্যিকারের আমেরিকান। তিনি শুধু আমাদের বিজয়ের দিকেই নিয়ে যাবেন না, বরং যেসব মূলনীতির ওপর দাঁড়িয়ে স্বাধীন, উন্নত ও জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, সেই সবও যেন ফিরে আসে।

২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের ফলাফল অনুমোদনে কংগ্রেসে সভাপতিত্ব করেন তিনি। তখন বাইডেনের জয়কে অনুমোদন না দেওয়ার জন্য পেন্সকে অনুরোধ করেন ট্রাম্প। সেই অনুরোধ না রাখায় পেন্সের ‘সাহসের অভাব’ আছে বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প। এরপর ২০২১ সালে ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনায় প্রকাশ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরোধিতা করেন পেন্স। এর পরই রিপাবলিকানদের সমর্থন হারাতে থাকেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ডোনাল্ড ট্রাম্পের চার বছরের শাসনামলে ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন মাইক পেন্স। তবে ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির পর অনেক রিপাবলিকান সমর্থকের কাছেই পেন্স হয়ে দাঁড়িয়েছেন একজন ‘প্রতারক’।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন মাইক পেন্স

আপডেট টাইম : ০৭:৩৬:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৩

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আসন্ন ২০২৪ সালের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থিতার দৌড় থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন দেশটির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শীর্ষ রিপাবলিকান নেতা মাইক পেন্স। শনিবার লাস ভেগাসে রিপাবলিকান ইহুদি জোটের এক অনুষ্ঠানে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন তিনি।

৬৪ বছর বয়সী মাইক পেন্স বলেন, সব সময় জানতাম যে, এমন সিদ্ধান্ত নেওয়াটা খুব কঠিন হবে। কিন্তু আমার কোনো আফসোস নেই। আমি প্রার্থিতার প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। তবে রিপাবলিকান মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা থেকে নয়।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়নের জন্য রিপাবলিকানদের সমর্থন আদায়ে ব্যর্থ হন মাইক পেন্স। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন পরিচালনার জন্য আর্থিকভাবেও খুব বেশি ভালো অবস্থানে ছিলেন না তিনি। তার ঋণের পরিমাণ বেশ বড়। গত সেপ্টেম্বরে তার তহবিলে ৬ লাখ ২১ হাজার ডলার এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ছিল ১২ লাখ ডলার, যা অন্যান্য প্রার্থীর তুলনায় কম।

গত জুন মাসে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে লড়াইয়ে নামেন পেন্স। ৫ জুন রিপাবলিকান প্রার্থিতার জন্য কাগজপত্র দাখিল করেন তিনি। তবে দলীয় সমর্থন ও শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সাড়া সেভাবে না পাওয়ায় তৃতীয় প্রেসিডেন্ট বির্তকের আগেই সরে দাঁড়ালেন সাবেক এই ভাইস প্রেসিডেন্ট। রিপাবলিকান শিবির থেকে পেন্সই প্রথম মনোনয়নের প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়ালেন।

তবে অন্য কোনো রিপাবলিকান প্রার্থীর প্রতি এখনো সমর্থন জানাননি মাইক পেন্স। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের কাছে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, এমন একজন নেতাকে খুঁজে বের করা উচিত, যিনি সত্যিকারের আমেরিকান। তিনি শুধু আমাদের বিজয়ের দিকেই নিয়ে যাবেন না, বরং যেসব মূলনীতির ওপর দাঁড়িয়ে স্বাধীন, উন্নত ও জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, সেই সবও যেন ফিরে আসে।

২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের ফলাফল অনুমোদনে কংগ্রেসে সভাপতিত্ব করেন তিনি। তখন বাইডেনের জয়কে অনুমোদন না দেওয়ার জন্য পেন্সকে অনুরোধ করেন ট্রাম্প। সেই অনুরোধ না রাখায় পেন্সের ‘সাহসের অভাব’ আছে বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প। এরপর ২০২১ সালে ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনায় প্রকাশ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরোধিতা করেন পেন্স। এর পরই রিপাবলিকানদের সমর্থন হারাতে থাকেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ডোনাল্ড ট্রাম্পের চার বছরের শাসনামলে ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন মাইক পেন্স। তবে ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির পর অনেক রিপাবলিকান সমর্থকের কাছেই পেন্স হয়ে দাঁড়িয়েছেন একজন ‘প্রতারক’।