হাওর বার্তা ডেস্কঃ গাজায় বড় ধরনের স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। শুক্রবার রাত থেকে স্থলবাহিনী গাজায় প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এছাড়া আগের চেয়ে বেড়েছে বিমান হামলা। শাতি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বোমায় ১শ’র বেশি ফিলিস্তিনি নিহত।
গাজায় স্থলপথে অনুপ্রবেশকারী ইসরায়েলি সেনাদের সাথে বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষের কথা জানিয়েছে হামাস। র রিপোর্ট…
ইসরায়েলের অব্যাহত বিমান হামলায় ২০ দিনে ধংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা। এ অবস্থায় অঞ্চলটিতে আরও তীব্র বোমা বর্ষণ শুরু করেছে নেতাহিয়াহু বাহিনী।
শাতি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বোমায় শতাধিক মৃত্যুর খবর দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য বিভাগ। এছাড়া বুরেজ ক্যাম্প এবং আল-শিফা ও ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের আশপাশে তীব্র বোমা বর্ষণ করা হয়।
এদিকে টেলিযোগাযোগ বন্ধ করে দেয়ায় গাজায় কর্মরত কর্মীদের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের কথা জানিয়েছে দাতব্য সংস্থাগুলো। এতে গাজায় চালানো গণহত্যা ও নৃশংসতাকে আড়াল করতে ব্যবহৃত হতে পারে বলে উদ্বেগ জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
গাজার বেশ কয়েকটি প্রবেশ মুখে ইসরায়েলিদের সেনাদের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষের কথা জানিয়েছে হামাস। এ সময় তিনটি ভিন্ন জায়গায় ইসরায়েলি সামরিক অনুপ্রবেশ প্রতিহত করার দাবি করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি।
এদিকে সিরিয়া, ইরাক এবং জর্ডানের মধ্যবর্তী আল-তানফ সীমান্তে ড্রোন হামলা চালিয়েছে সিরিয়ায় থাকা যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা। ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের একটি ঘাঁটি লক্ষ্য এই হামলা চালানোর কথা জানায় পেন্টাগন।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে তোলা জর্ডানের একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। যেখানে ১২০টি দেশ এটির পক্ষে ভোট দেয়। তবে এতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।