হাওর বার্তা ডেস্কঃ ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের অবসানে আবারও আলোচনায় এসেছে ‘দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান’। মিসরের কায়রোতে শনিবার অনুষ্ঠিত শান্তি সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে আরব ও ইউরোপীয় নেতারা দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। বলেন, এ সংঘাতের একটি স্থিতিশীল এবং নিরাপদ ফলাফল অবশ্যই একটি দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের ভিত্তিতে তৈরি করা উচিত।
ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ প্রতিরোধের উপায় খুঁজে বের করতে এ নীতির কথা তুলে ধরা হয়। সম্মেলনে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, এশিয়া, কানাডা এবং ব্রাজিলের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তবে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইল উপস্থিত ছিল না। ব্ল–মবার্গ।
দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান মূলত ফিলিস্তিনি ও ইসরাইল নামে দুটি আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। সহজ ভাষায়, আলাদা আলাদা দুটি সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য দুটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। অর্থাৎ ইহুদি জনগণের জন্য ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য ফিলিস্তিন। দুটি দেশের মানুষ একে-অপরের পাশে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ফিলিস্তিনি ও ইসরাইলের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব রয়েছে সেটি সমাধানের জন্য দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানকেই সবচেয়ে উত্তম মনে করছে।
১৯৪৭ সালে জাতিসংঘ ফিলিস্তিন ও ইসরাইল আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। অনেক দেশ এতে সমর্থন জানায়। ইসরাইল ক্ষমতা দখলের পর থেকে গাজায় একের পর এক হামলা চালায়। দুই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার যে লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছিল সেটি এখন পর্যন্ত অর্জিত হয়নি। বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি দুই দেশ। রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য বহু বছর আগে নির্ধারিত হলেও দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান নীতির উৎস মূলত ক্যাম্প ডেভিড অ্যাকর্ডস চুক্তি (শান্তি চুক্তি)।
১৯৭৮ সালে মিসসর ও ইসরাইল এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। ইসরাইল-ফিলিস্তিন সীমান্তের সমাধানও এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। দুই পক্ষই জেরুজালেম শহরকে নিজেদের রাজধানী হিসাবে দাবি করে। ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডে জোরপূর্বক দখল করে ইসরাইল অবৈধ বসতি স্থাপন করেই যাচ্ছে। আর এটাই দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের বড় বাধা। তবে এটি সমাধান হলে ১৯৬৭ সালের সীমানা রেখা চুক্তিকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। জেরুজালেমকে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে।