ঢাকা ১১:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চিনি ও ভোজ্য তেলের দাম কমানোর ঘোষণা আসতে পারে শিগগির

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:১২:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৩
  • ৯৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভোজ্য তেল ও চিনির দাম আরেক দফা কমানোর চিন্তা করছে সরকার। এ দুটি পণ্যের দাম কতটুকু কমানো হবে, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এক-দুই দিনের মধ্যে এ বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে বলে জানা গেছে।

সূত্র জানিয়েছে, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গত শুক্রবার নিজ বাসভবনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সভায় নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা নিয়ে দীর্ঘ সময় আলোচনা হয়।

সভায় চিনি ও সয়াবিন তেলের ওপর আরোপিত শুল্ক কমানোর মাধ্যমে এই দুই পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রস্তাব করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, নানা কারণে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হয় না। এখন যদি চিনি ও সয়াবিন তেলের ওপর থেকে শুল্ক কমানো হয়, তাহলে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন বাধাগ্রস্ত হবে।

আলোচনা শেষে চিনি ও সয়াবিন তেলের শুল্কহার পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সভায় জানানো হয়। রোববারের মধ্যে এ বিষয়ে এনবিআরের সিদ্ধান্ত জানানোর কথা ছিল। কিন্তু, সোমবার পর্যন্ত সে সিদ্ধান্ত জানা যায়নি। আশা করা হচ্ছে, আগামী দুই-এক দিনের মধ্যে এ বিষয়ে সরকারের একটি সিদ্ধান্ত জানা যাবে।

গত মাসে সরকার প্রথমবার ডিম, আলু, পেঁয়াজসহ ছয়টি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে। তখন সেটি অনেককে আশান্বিত করেছিল। পাশাপাশি এর বিপরীতেও অনেকেই মতামত দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত দাম নিয়ন্ত্রণে থাকেনি। ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য দুই দফায় ১১ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত একটি ডিমও দেশে আসেনি। গতকাল রোববার (১৫ অক্টোবর) এক অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান, চলতি সপ্তাহেই কিছু ডিম দেশে আসবে। এর আগে ডিমের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।

সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, প্রতি পিস ডিমের দাম কোনোভাবেই ১২ টাকার বেশি হবে না। অথচ, ব্যবসায়ীরা বলছেন, তাদের এখন ডিম কিনতেই খরচ পড়ছে ১২ টাকার বেশি। বর্তমানে বাজারে প্রতি ডজন ডিম কিনতে হচ্ছে ১৬০ টাকায়। আলুর বাজারেও একই অবস্থা। সরকার ৩৫ টাকা দাম নির্ধারণ করে করলেও আলুর সর্বনিম্ন মূল্য এখন ৫০ টাকা। আলুর যখন হাফসেঞ্চুরি, তখন সেঞ্চুরির পথে পেঁয়াজ। সরকারের ঠিক করে দিয়েছে দেশি পেঁয়াজের বিক্রয়মূল্য হবে ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা, কিন্তু এখন তা ৯০ টাকা ছাড়িয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৫ টাকা কমিয়ে ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। অবশ্য, ভোজ্যতেল বেশিরভাগ সময় নির্ধারিত দরে বিক্রি হয়। কিন্তু, চিনিতে দর মানা হয় না। এখন প্রতি কেজি খোলা চিনির নির্ধারিত দর ১৩০ টাকা। বাজারে প্রতি কেজি চিনি  বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়। কোনো কোনো জায়গায় তা ১৫০ টাকার বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

চিনি ও ভোজ্য তেলের দাম কমানোর ঘোষণা আসতে পারে শিগগির

আপডেট টাইম : ০৭:১২:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৩

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভোজ্য তেল ও চিনির দাম আরেক দফা কমানোর চিন্তা করছে সরকার। এ দুটি পণ্যের দাম কতটুকু কমানো হবে, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এক-দুই দিনের মধ্যে এ বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে বলে জানা গেছে।

সূত্র জানিয়েছে, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গত শুক্রবার নিজ বাসভবনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সভায় নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা নিয়ে দীর্ঘ সময় আলোচনা হয়।

সভায় চিনি ও সয়াবিন তেলের ওপর আরোপিত শুল্ক কমানোর মাধ্যমে এই দুই পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রস্তাব করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, নানা কারণে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হয় না। এখন যদি চিনি ও সয়াবিন তেলের ওপর থেকে শুল্ক কমানো হয়, তাহলে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন বাধাগ্রস্ত হবে।

আলোচনা শেষে চিনি ও সয়াবিন তেলের শুল্কহার পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সভায় জানানো হয়। রোববারের মধ্যে এ বিষয়ে এনবিআরের সিদ্ধান্ত জানানোর কথা ছিল। কিন্তু, সোমবার পর্যন্ত সে সিদ্ধান্ত জানা যায়নি। আশা করা হচ্ছে, আগামী দুই-এক দিনের মধ্যে এ বিষয়ে সরকারের একটি সিদ্ধান্ত জানা যাবে।

গত মাসে সরকার প্রথমবার ডিম, আলু, পেঁয়াজসহ ছয়টি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে। তখন সেটি অনেককে আশান্বিত করেছিল। পাশাপাশি এর বিপরীতেও অনেকেই মতামত দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত দাম নিয়ন্ত্রণে থাকেনি। ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য দুই দফায় ১১ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত একটি ডিমও দেশে আসেনি। গতকাল রোববার (১৫ অক্টোবর) এক অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান, চলতি সপ্তাহেই কিছু ডিম দেশে আসবে। এর আগে ডিমের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।

সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, প্রতি পিস ডিমের দাম কোনোভাবেই ১২ টাকার বেশি হবে না। অথচ, ব্যবসায়ীরা বলছেন, তাদের এখন ডিম কিনতেই খরচ পড়ছে ১২ টাকার বেশি। বর্তমানে বাজারে প্রতি ডজন ডিম কিনতে হচ্ছে ১৬০ টাকায়। আলুর বাজারেও একই অবস্থা। সরকার ৩৫ টাকা দাম নির্ধারণ করে করলেও আলুর সর্বনিম্ন মূল্য এখন ৫০ টাকা। আলুর যখন হাফসেঞ্চুরি, তখন সেঞ্চুরির পথে পেঁয়াজ। সরকারের ঠিক করে দিয়েছে দেশি পেঁয়াজের বিক্রয়মূল্য হবে ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা, কিন্তু এখন তা ৯০ টাকা ছাড়িয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৫ টাকা কমিয়ে ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। অবশ্য, ভোজ্যতেল বেশিরভাগ সময় নির্ধারিত দরে বিক্রি হয়। কিন্তু, চিনিতে দর মানা হয় না। এখন প্রতি কেজি খোলা চিনির নির্ধারিত দর ১৩০ টাকা। বাজারে প্রতি কেজি চিনি  বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়। কোনো কোনো জায়গায় তা ১৫০ টাকার বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।