হাওর বার্তা ডেস্কঃ হামাসের সৈন্যরা ইসরাইলে হামলার আগে কোনোভাবেই টের পায়নি দেশটির গোয়েন্দারা। এমনকি দেশটির সুরক্ষিত সীমান্ত ব্যবস্থাও বাধা দিতে পারেনি ফিলিস্তিনিদের।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাসের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি সস্তা ড্রোনই ইসরাইলের সুরক্ষিত সীমান্ত ব্যবস্থাকে স্রেফ অকেজো বলে প্রমাণিত করেছে।
হামাসের ইসরাইল হামলার বিষয়ে মূল্যায়নের জন্য নিউইয়র্ক টাইমস কথা বলেছে ইসরাইলের নিরাপত্তা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে। গত ৭ অক্টোবর হামাসের সদস্যরা স্থল, জল ও আকাশ পথে ইসরাইলে প্রবেশ করে। সেদিন হামাসের সদস্যরা ইসরাইলের অন্তত ২০টি শহর ও সেনাঘাঁটিতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যসহ বেশ কয়েক বেসামরিক নাগরিক হত্যা ও বন্দি করে।
এক বিশ্লেষক নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, ইসরাইলি কর্মকর্তাদের মূল্যায়ন ছিল, ২০২১ সালের মে মাসের সংঘর্ষের পর হয়তো হীনবল হয়ে পড়েছে। তাই তারা অদূর ভবিষ্যতে ইসরাইলের জন্য আর হুমকি হিসেবে আবির্ভূত হবে না। কিন্তু তাদের সেই মূল্যায়ন ভুল ছিল।
ইসরাইলি সশস্ত্র বাহিনীর এক কর্মকর্তা বলেছেন, ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ গাজা সীমান্তে নির্মিত সুরক্ষিত দেয়ালের কার্যকারিতা নিয়ে বেশ আত্মতুষ্টিতে ভুগছিল। কারণ দেয়ালটিতে বিভিন্ন ধরনের সেন্সর, দূর নিয়ন্ত্রিত স্বয়ংক্রিয় মেশিনগানসহ অন্য অনেক ব্যবস্থাই সংযুক্ত ছিল।
নিউইয়র্ক টাইমস ইসরাইলি সেনা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বলেছে, হামাস হামলার প্রথম ধাক্কায়ই সীমান্তের চারটি যোগাযোগ টাওয়ার ধ্বংস করে দেয় ড্রোন থেকে গোলা ফেলার মাধ্যমে। ঘটনাগুলো এতই দ্রুত ঘটেছে যে ইসরাইলিরা টেরই পায়নি কিছু। ফলে হামাসের লোকজনের জন্য সীমান্ত পার হওয়া খুব সহজ হয়ে গিয়েছিল। এছাড়া বিস্ফোরক, বুলডোজার ব্যবহার করে সব মিলিয়ে ৩০ জায়গা ভেঙে ফেলে এবং ইসরাইলের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে দেড় হাজার হামাস সেনা।
ইসরাইলি সশস্ত্র বাহিনীর উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা সীমান্তে ক্ষয়ক্ষতি কতটা হয়েছে তা দ্রুত বুঝতে পারেননি। ফলে ঘটনাস্থলগুলো থেকে ইসরাইলের বিভিন্ন বিমান ঘাঁটি মাত্র কয়েক মিনিটের দূরত্ব হলেও বিমান সহায়তা শুরু করতে কয়েক ঘণ্টা লেগে গিয়েছে।