হাওর বার্তা ডেস্কঃ দ্রুতগতির বুলেট ট্রেন চালু করেছে ইন্দোনেশিয়া, যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম। এর আগে বেশ কয়েকবার ট্রেনটি উদ্বোধনের তারিখ পরিবর্তন করা হয়। তবে অবশেষে আজ সোমবার থেকে চলা শুরু করেছে ট্রেনটি।
ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি আজ সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের সহায়তায় কয়েক বিলিয়ন ডলারের এ প্রকল্পকে দেশটির প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো ‘ইন্দোনেশিয়ার পরিবহণব্যবস্থার আধুনিকায়নের প্রতীক’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
খবরে বলা হয়েছে, বুলেট ট্রেনটির নাম ‘হুশ’ (Whoosh)। এর সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৩৫০ কিলোমিটার বা ২২০ মাইল। রাজধানী জাকার্তা থেকে বানদুং শহর যেতে ট্রেনটির সময় লাগবে মাত্র ৪৫ মিনিট, যার দূরত্ব ১৪০ কিলোমিটার। অথচ আগে এই পথ পাড়ি দিতে সময় লাগতো প্রায় ৩ ঘণ্টা।
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট উইদোদো দেশটির রাজধানীর কেন্দ্রীয় রেলস্টেশনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, জাকার্তা-বানদুং বুলেট ট্রেন যোগাযোগব্যবস্থার একটি মাইলফলক।
তিনি আরও বলেন, এটি গণপরিবহণের আধুনিকায়নের প্রতীক, যার মাধ্যমে অন্যান্য পরিবহণব্যবস্থার সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ স্থাপিত হবে।
উইদোদো জানান, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম বুলেট ট্রেন একবারে ৬০০ যাত্রী পরিবহণ করতে পারবে।
জানা যায়, এটি চীনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগের অংশ। প্রায় এক দশকেরও বেশি পুরনো এই উদ্যোগে একাধিক দেশে অবকাঠামোগত প্রকল্পে পৃষ্ঠপোষকতা করছে বেইজিং।
ইন্দোনেশিয়ার চারটি প্রতিষ্ঠান ও চায়না রেলওয়ে ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানির সমন্বয়ে গঠিত পিটি কেসিআইসি সংস্থা এই রেললাইন নির্মাণ করেছে।
গত মাসে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং ইন্দোনেশিয়ার সিনিয়র মন্ত্রী লুহুত পান্দজাইতানের সঙ্গে বুলেট ট্রেনে চড়েন। সেই সময় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নেতাদের সঙ্গে সম্মেলনে অংশ নিতে জাকার্তা সফরে করেন লি।
এদিকে পান্দজাইতান বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট উইদোদো খুব শিগগির চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে এই ট্রেনে যাত্রার জন্য আমন্ত্রণ জানাবেন।