পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লি, ঝাউবাগান, গঙ্গামতির চর, লাল কাঁকড়ার চরে প্রচুর সংখ্যক পর্যটকদের আনাগোনা। আর সৈকতের জিরো পয়েন্টে পর্যটকের মিলনমেলা বসেছে।
ঈদে মিলাদুন্নবীসহ সরকারি তিন দিনের ছুটিতে এমন চিত্র এখন পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে। বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকাল থেকে কুয়াকাটায় প্রচুর সংখ্যক পর্যটকের আগমন ঘটতে থাকে। আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে আনন্দে মেতেছেন। অনেকে সমুদ্রের নোনাজলে গাঁ ভাসাচ্ছেন। কেউ প্রিয়জনদের সঙ্গে সেলফি তুলছেন, কেউ সৈকতের বেঞ্চে বসে উপভোগ করছেন সাগরের গর্জন। সৈকতে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। বাড়তি পর্যটকের ভিড়ে বিক্রি বেড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে। বুকিং রয়েছে অধিকাংশ হোটেল-মোটেল। আগতদের সার্বিক নিরাপত্তায় বিভিন্ন পর্যটন স্পটে মোতায়েন রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
ঢাকার মিরপুর থেকে আসা পর্যটক রুমান মিয়া বলেন, ‘আমি ঢাকায় সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। সরকারি তিন দিনের ছুটি রয়েছে। আমি বুধবারও ছুটি নিয়েছি। মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) অফিস শেষ করে পরিবার নিয়ে কুয়াকাটার উদ্দেশে রওয়ানা দেই। এখানে এসে বেশ ভালো লাগছে। অনেক মানুষ একসঙ্গে দারুণ অনুভূতি।’
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে আসা পর্যটক সোলায়মান মিয়া বলেন, ‘সকালে বন্ধুরা একসঙ্গে কুয়াকাটায় এসেছি এবং সৈকতে সাঁতার কেটেছি। বন্ধুরা মিলে বেশ মজা করছি। কুয়াকাটার পরিবেশটাও দারুণ লাগছে।’
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ জানান, আগামীকাল শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত অধিকাংশ হোটেল বুকিং রয়েছে। পর্যটকদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছে হোটেল মোটেল মালিক কর্তৃপক্ষ।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পুলিশ পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তায় সব পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আশা করা যায়, পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দে ভ্রমণ উপভোগ করতে পারবে।