ঢাকা ১২:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মশা মেরে শেষ করা যাবে না, সবাইকে সচেতন হতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:৩৮:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ৯২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জনপ্রতিনিধিদের দেশের মানুষের সেবায় কাজ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আপনারা দেশের জন্য কাজ করুন। এ দেশকে ব্যর্থ হতে দেবেন না। আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) তার সরকারি বাসভবন গণভবনে স্থানীয় সরকার দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের উন্নয়নে আমরা কাজ করছি। আর বিএনপি যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই দেশকে পিছিয়ে দিয়েছে। বর্তমানে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দেশে খাদ্য সামগ্রীর দাম বেড়েছে। ‌এ যুদ্ধের প্রভাব সারা বিশ্বেই পড়েছে। আমরা খাদ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার পদক্ষেপ নিয়েছি।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমাদের যতটুকু সম্পদ আছে, তা দিয়েই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। দেশের প্রতিটি গ্রামই শহরের মতো গড়ে তুলব। আমরা চ্যালেঞ্জ নিয়ে পদ্মা সেতু করেছি। এখন পদ্মা সেতুতে রেল লাইনও করে দিয়েছি। আমাদের প্রতি ইঞ্চি জায়গা আবাদ করতে হবে। আমরা নিজেদের খাদ্য নিজেরাই উৎপাদন করব। কারও কাছে হাত পাতব না।’

বর্তমান সরকারের আমলে সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির আমলে ১৮ জন কৃষককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। আজ কৃষকের ঘরে সার পৌঁছে যায়। তাদের কৃষি উপকরণ কার্ড দিয়েছি। এটা দিয়ে কৃষি উপকরণ কিনতে পারে। ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। এর মাধ্যমে ভর্তুকির টাকা সরাসরি কৃষকের কাছে পৌঁছে যায়। জেলেদের ৪০ কেজি করে চাল দিই।’

 

সরকারপ্রধান বলেন, ‘৯৬ সালে ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ছিল। আমরা ৪ হাজার ৩০০ করে যাই। পরে বিএনপির আমলে কমে গেছে সেটা। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর এখন ২৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করি। শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পায়। শিক্ষার্থীদের বই, বৃত্তি, উপবৃত্তি দিচ্ছি। ডিজিটাল সেন্টার করে দিচ্ছি। ইনকিউবেটর, হাইটেক পার্ক করে দিয়েছি। আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ। ৭৩ শতাংশ লোক ইন্টারনেট ব্যবহার করে। ঘরে ঘরে মোবাইল ফোন।’

তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করি। কোনো মানুষ দরিদ্র থাকবে না। নানাভাবে তাদের এগিয়ে নেওয়ার কাজ করছি। প্রতিবন্ধী, বয়স্ক, স্বামী পরিত্যক্তাদের ভাতা দিচ্ছি। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের স্বীকৃতি ও তাদের ভাতাও দিচ্ছি। ৫ কোটি মানুষের পারিবারিক কার্ড করে দিয়েছি। এটা দিয়ে স্বল্পমূল্যে প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে এবং মশার হাত থেকে বাঁচতে হলে মশারি ব্যবহার করতে হবে। ঘরবাড়ি পরিষ্কার রাখতে হবে। মশা মেরে শেষ করা যাবে না। নিজেরাও সচেতন হতে হবে।’

অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, রাজশাহীর মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, নারায়ণগঞ্জের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, খুলনার মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সিলেটের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীসহ বিভিন্ন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইবরাহীম। এছাড়া দেশের সব সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলর, পৌর মেয়র ও কাউন্সিলর, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানরা এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মশা মেরে শেষ করা যাবে না, সবাইকে সচেতন হতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৬:৩৮:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জনপ্রতিনিধিদের দেশের মানুষের সেবায় কাজ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আপনারা দেশের জন্য কাজ করুন। এ দেশকে ব্যর্থ হতে দেবেন না। আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) তার সরকারি বাসভবন গণভবনে স্থানীয় সরকার দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের উন্নয়নে আমরা কাজ করছি। আর বিএনপি যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই দেশকে পিছিয়ে দিয়েছে। বর্তমানে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দেশে খাদ্য সামগ্রীর দাম বেড়েছে। ‌এ যুদ্ধের প্রভাব সারা বিশ্বেই পড়েছে। আমরা খাদ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার পদক্ষেপ নিয়েছি।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমাদের যতটুকু সম্পদ আছে, তা দিয়েই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। দেশের প্রতিটি গ্রামই শহরের মতো গড়ে তুলব। আমরা চ্যালেঞ্জ নিয়ে পদ্মা সেতু করেছি। এখন পদ্মা সেতুতে রেল লাইনও করে দিয়েছি। আমাদের প্রতি ইঞ্চি জায়গা আবাদ করতে হবে। আমরা নিজেদের খাদ্য নিজেরাই উৎপাদন করব। কারও কাছে হাত পাতব না।’

বর্তমান সরকারের আমলে সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির আমলে ১৮ জন কৃষককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। আজ কৃষকের ঘরে সার পৌঁছে যায়। তাদের কৃষি উপকরণ কার্ড দিয়েছি। এটা দিয়ে কৃষি উপকরণ কিনতে পারে। ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। এর মাধ্যমে ভর্তুকির টাকা সরাসরি কৃষকের কাছে পৌঁছে যায়। জেলেদের ৪০ কেজি করে চাল দিই।’

 

সরকারপ্রধান বলেন, ‘৯৬ সালে ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ছিল। আমরা ৪ হাজার ৩০০ করে যাই। পরে বিএনপির আমলে কমে গেছে সেটা। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর এখন ২৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করি। শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পায়। শিক্ষার্থীদের বই, বৃত্তি, উপবৃত্তি দিচ্ছি। ডিজিটাল সেন্টার করে দিচ্ছি। ইনকিউবেটর, হাইটেক পার্ক করে দিয়েছি। আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ। ৭৩ শতাংশ লোক ইন্টারনেট ব্যবহার করে। ঘরে ঘরে মোবাইল ফোন।’

তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করি। কোনো মানুষ দরিদ্র থাকবে না। নানাভাবে তাদের এগিয়ে নেওয়ার কাজ করছি। প্রতিবন্ধী, বয়স্ক, স্বামী পরিত্যক্তাদের ভাতা দিচ্ছি। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের স্বীকৃতি ও তাদের ভাতাও দিচ্ছি। ৫ কোটি মানুষের পারিবারিক কার্ড করে দিয়েছি। এটা দিয়ে স্বল্পমূল্যে প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে এবং মশার হাত থেকে বাঁচতে হলে মশারি ব্যবহার করতে হবে। ঘরবাড়ি পরিষ্কার রাখতে হবে। মশা মেরে শেষ করা যাবে না। নিজেরাও সচেতন হতে হবে।’

অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, রাজশাহীর মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, নারায়ণগঞ্জের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, খুলনার মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সিলেটের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীসহ বিভিন্ন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইবরাহীম। এছাড়া দেশের সব সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলর, পৌর মেয়র ও কাউন্সিলর, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানরা এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।