ঢাকা ১২:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গুমের ঘটনা তদন্তে জাতিসংঘের প্রস্তাব মেনে নেওয়ার আহ্বান এইচআরডব্লিউর

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৩৫:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৩
  • ৭৫ বার

জাতিসংঘের প্রস্তাব মেনে নিতে বাংলাদেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) আহ্বান জানিয়েছে।

বধবার আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষ্যে সংস্থাটির ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।

এইচআরডব্লিউর বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২২ সালের আগস্টে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক তৎকালীন হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট। সেসময় তিনি বিচারবহির্ভূত হত্যা ও নির্যাতনের অভিযোগ তদন্তের জন্য স্পেশালাইজড মেকানিজম প্রতিষ্ঠায় সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে গুমের ঘটনা তদন্তে স্বাধীন কমিশনকে সমর্থন করার জন্য বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের উচিত জাতিসংঘের প্রস্তাব গ্রহণ করা। অবশ্য গুমের অভিযোগ কর্তৃপক্ষ বারবার অস্বীকার করছে। নিখোঁজরা নিজে থেকেই আÍগোপনে রয়েছে বলেও প্রহসনমূলক দাবি করা হচ্ছে।

বাংলাদেশি মানবাধিকার পর্যবেক্ষকদের বরাত দিয়ে এইচআরডব্লিউ বলছে, নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ২০০৯ সাল থেকে ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ হয়েছে। কিছু লোককে পরে মুক্তি দেওয়া হয়। আবার নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র সংঘর্ষে কয়েকজন মারা গেছে বলেও দাবি করা হয়। দেশটিতে এখনো প্রায় ১০০ জন নিখোঁজ রয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

গুমের ঘটনা তদন্তে জাতিসংঘের প্রস্তাব মেনে নেওয়ার আহ্বান এইচআরডব্লিউর

আপডেট টাইম : ১১:৩৫:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৩

জাতিসংঘের প্রস্তাব মেনে নিতে বাংলাদেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) আহ্বান জানিয়েছে।

বধবার আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষ্যে সংস্থাটির ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।

এইচআরডব্লিউর বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২২ সালের আগস্টে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক তৎকালীন হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট। সেসময় তিনি বিচারবহির্ভূত হত্যা ও নির্যাতনের অভিযোগ তদন্তের জন্য স্পেশালাইজড মেকানিজম প্রতিষ্ঠায় সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে গুমের ঘটনা তদন্তে স্বাধীন কমিশনকে সমর্থন করার জন্য বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের উচিত জাতিসংঘের প্রস্তাব গ্রহণ করা। অবশ্য গুমের অভিযোগ কর্তৃপক্ষ বারবার অস্বীকার করছে। নিখোঁজরা নিজে থেকেই আÍগোপনে রয়েছে বলেও প্রহসনমূলক দাবি করা হচ্ছে।

বাংলাদেশি মানবাধিকার পর্যবেক্ষকদের বরাত দিয়ে এইচআরডব্লিউ বলছে, নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ২০০৯ সাল থেকে ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ হয়েছে। কিছু লোককে পরে মুক্তি দেওয়া হয়। আবার নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র সংঘর্ষে কয়েকজন মারা গেছে বলেও দাবি করা হয়। দেশটিতে এখনো প্রায় ১০০ জন নিখোঁজ রয়েছে।