হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভারতের ডিজিটাল আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থা ইউনিফাইড পেমেন্ট ইন্টারফেস (ইউপিআই) বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস বিজনেস ফোরামে বক্তব্য দেওয়ার সময় এ তথ্য জানান তিনি। এ সময় দেশের অর্থনৈতিক সংস্কার ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির কথাও তুলে ধরেন মোদি। এ ছাড়া আগামী দিনে ভারত বিশ্ব প্রবৃদ্ধি চালিকাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। খবর এনডিটিভির।
মোদি বলেন, আজ এক ক্লিকে ভারতের লাখ লাখ মানুষ সরাসরি লেনদেন সুবিধা পান। এই সেবার মাধ্যমে সার্ভিস প্রদানে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পেয়েছে, দুর্নীতি ও দালাল কমেছে। প্রতি গিগাবাইট ডেটা খরচের ক্ষেত্রে ভারত সবচেয়ে সাশ্রয়ী দেশের একটি। বর্তমানে ভারতে হকার থেকে শুরু করে বড় বড় শপিং মল পর্যন্ত, সব স্তরের মানুষ ইউপিআই ব্যবহার করে। আজ বিশ্বের সব চেয়ে ডিজিটাল লেনদেনের দেশ ভারত। সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুর ও ফ্রান্সের মতো দেশ এই প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। এ ব্যবস্থা নিয়ে ব্রিকসের সদস্য দেশের সঙ্গেও কাজ করার অনেক সম্ভাবনা রয়েছে।
ব্রিকস বিজনেস কাউন্সিলের দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অভিনন্দন জানিয়ে মোদি বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে ব্রিকস বিজনেস কাউন্সিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
তিনি বলেন, ব্রিকস বিজনেস কাউন্সিলের দশম বার্ষিকীতে অনেক অনেক অভিনন্দন ও শুভকামনা। গত দশ বছরে ব্রিকস বিজনেস কাউন্সিল আমাদের অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ২০০৯ সালে যখন প্রথম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তখন বিশ্ব একটি বিশাল আর্থিক সংকট থেকে বেরিয়ে আসছিল। সেই সময় ব্রিকস বিশ্ব অর্থনীতির জন্য আশার আলো হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল।
তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে উত্তেজনা ও বিরোধের মধ্যেও বিশ্ব ই-অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। এমন সময়ে আবারও ব্রিকসের দেশগুলোর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব অর্থনীতিতে অস্থিরতা সত্ত্বেও ভারত আজ বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ। খুব শিগগিরই ভারত পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হবে। কোনো সন্দেহ নেই যে আগামী বছরে ভারতই হবে বিশ্ব প্রবৃদ্ধির চালিকাশক্তি। এর কারণ হলো ভারত সংকট ও অসুবিধাকে অর্থনৈতিক আগ্রগতির সুযোগে পরিণত করেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশ হওয়ার সংকল্প নিয়েছে ভারতের জনগণ।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতি সত্ত্বেও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং এ অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।