ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে দ্বিগুণেরও বেশি বন্দি অবস্থান করছে। কারাগারটির ধারণক্ষমতা ৪ হাজার ৫৯০ হলেও শনিবার দুপুর পর্যন্ত কারাগারে ১০ হাজার ৩০৬ জন বন্দি আটক রয়েছে।
অতিরিক্ত বন্দির চাপ কমাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বন্দীদের নিয়মিত গাজীপুরের কাশিমপুরের ৩টি কারাগারে বদলি করা হয়। ফলে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট ১, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট ২ ও কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারেও বর্তমানে বন্দির সংখ্যা বেড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে গড়ে সাড়ে ৮ হাজার থেকে ৯ হাজার বন্দি অবস্থান করে থাকে। কিন্তু রাজনৈতিক উত্তপ্ত পরিস্থিতি ও নেতাকর্মীরা আটক হওয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে বন্দির সংখ্যা বেড়ে গেছে।
অতিরিক্ত বন্দিদের খাবার ও বাসস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুব আলম বলেন, গাজীপুরের কাশিমপুরে নির্মিত ৪ কারাগারের মধ্যে মহিলা কারাগার বাদে ৩ কারাগারে শুধু ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দি স্থানান্তর করা হয়। এতে আমাদের চাপ অনেকটাই কমে যায়।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ধারণ ক্ষমতা কাগজে কলমে ৫ হাজার ৪৯০ হলেও প্রকৃতপক্ষে এখানে তিনগুণ বন্দি থাকতে পারে।
এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে একজন বন্দির জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৩৬ ফুট জায়গা। কিন্তু বাস্তবতায় ৩৬ ফিট জায়গায় ৩ জন থাকতে পারে। সে হিসেবে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ৩ গুন বন্দি রাখাও সম্ভব। যদিও সে পরিস্থিতি এখনো হয়নি।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার সৈয়দ হাসান বলেন, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের শস্য ভাণ্ডারে সব সময় চাহিদার দ্বিগুণ খাদ্য মজুদ থাকে। ফলে হঠাৎ বন্দি বেড়ে গেলেও খাওয়ায় কোনো সমস্যা হয় না।
জানা গেছে, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ৮টি ছয়তলা ভবন রয়েছে। যেখানে সাধারণ বন্দিরা থাকে। ৪টি চারতলা ভবনে দুর্ধর্ষ অপরাধীরা থাকে। আর ডিভিশনপ্রাপ্তদের জন্য রয়েছে আলাদা ভবন। মানসিক রোগী ও প্রতিবন্ধী বন্দীদের জন্য আলাদা একটি দ্বিতীয় তলা ভবন রয়েছে।
পুরো রাজধানী ও ঢাকা জেলায় গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের আদালতের নির্দেশে প্রথমে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দির চাপ বেড়ে গেলে কাশিমপুরের ৩টি কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।