বর্তমানে ইউরোপে বেশিরভাগ দেশেই ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার পান যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণকারীরা। তবে এই সুবিধা আর বেশিদিন থাকছে না। ২০২৪ সাল থেকেই ইউরোপে প্রবেশের ক্ষেত্রে আগাম অনুমতি নিতে হবে মার্কিনিদের।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভ্রমণ বিষয়ক অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, এই মুহূর্তে ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার পাচ্ছে এমন ৬০টিরও বেশি দেশের নাগরিকদের ২০২৪ সাল থেকে ইউরোপ ভ্রমণের আগে ইউরোপীয় ভ্রমণ তথ্য ও অনুমোদন ব্যবস্থায় (ইটিআইএএস) অনুমতির জন্য আবেদন করতে হবে। এই আবেদনের জন্য খরচ হবে প্রায় আট মার্কিন ডলার।
ইটিআইএএস হলো একটি ইলেকট্রনিক ভ্রমণ অনুমোদন, যা ভ্রমণকারীর পাসপোর্টের সঙ্গে যুক্ত। ইইউর ভাষ্যমতে, ইউরোপে ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসী হুমকির মধ্যে সীমান্ত রক্ষা ও শক্তিশালী করার জন্য নতুন এই ভ্রমণ অনুমোদন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
ট্রাভেল ইউরোপ ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ইউরোপ ভ্রমণের নিয়ম বদলে গেছে। ২০২৪ সাল থেকে ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকারপ্রাপ্ত ৬০টির বেশি দেশ ও অঞ্চলের প্রায় ১৪০ কোটি মানুষের জন্য বেশিরভাগ ইউরোপীয় দেশে প্রবেশের আগে অনুমতির প্রয়োজন হবে।
এই তালিকায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইউক্রেনের মতো দেশগুলো।
ইইউ জানিয়েছে, এসব দেশের যেসব নাগরিক ইউরোপের শেনজেন অঞ্চলের ২৭টি দেশে ভ্রমণ করতে চান, তাদের ইটিআইএএসে নিবন্ধন করতে হবে। অন্যথায় সীমান্ত থেকে ফিরে যেতে হতে পারে। ইটিআইএএসের অনুমোদন একবার পেয়ে গেলে তা তিন বছর অথবা ভ্রমণকারীর পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বৈধ থাকবে।
ইটিআইএএসের তথ্যমতে, এর বেশিরভাগ আবেদনই কয়েক মিনিটের মধ্যে প্রক্রিয়াজাত হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু যদি বেশি সময় লাগে, সেক্ষেত্রে চারদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। আর আবেদনকারীকে অতিরিক্ত নথিপত্র সরবরাহ করতে বলা হলে ১৪ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানতে পারবেন।
ট্রাভেল ইউরোপ ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বৈধ ইটিআইএএস অনুমোদন থাকলে স্বল্পমেয়াদে থাকার জন্য আপনি যতবার চান ইউরোপীয় দেশগুলোতে প্রবেশ করতে পারবেন। এই সময়কাল সাধারণত ৯০ থেকে ১৮০ দিন পর্যন্ত হতে পারে। তবে ইটিআইএএস অনুমোদন কখনোই প্রবেশের নিশ্চয়তা দেয় না। সীমান্তে পৌঁছালে একজন সীমান্তরক্ষী আপনার পাসপোর্ট ও অন্যান্য নথিপত্র দেখাতে বলবেন এবং আপনি প্রবেশের সব শর্ত পূরণ করেছেন কি না তা যাচাই করবেন।
হেনলি পাসপোর্ট সূচক অনুসারে, বর্তমানে বিশ্বের ১৮৪টি দেশে ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার পান যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণকারীরা।