ঢাকা ১০:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মৃত তিমির পেটে ৬ কোটি টাকার সম্পদ উদ্ধার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:২৭:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ জুলাই ২০২৩
  • ৬৯ বার

স্পেনের ক্যানারি দ্বীপের সমুদ্র সৈকতে ভেসে আসা বিরল প্রজাতির একটি তিমি। সেই তিমি মরদেহ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ৬ কোটি টাকার সম্পদ। এই বহুমূল্যবান সম্পদের কারণেই মূলত প্রাণ হারিয়েছে তিমিটি। দ্যা গার্ডিয়ান জানিয়েছে, আফ্রিকার উত্তর-পশ্চিমের ক্যানারি দ্বীপের লা পালমায় নগালেস সৈকত ভেসে আসে একটি বিরল প্রজাতির স্পার্ম হোয়েল। যার পাকস্থলী থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৫ লাখ ইউরো বা ৫ কোটি ৯০ লাখ টাকার সম্পদ। পৃথিবীতে যত তিমি রয়েছে স্পার্ম হোয়েলের সংখ্যা তার মাত্র এক শতাংশ। বিরল এই তিমিটিকে সৈকতেই প্রাথমিক পরীক্ষা করে হজমজনিত সমস্যার কিছু প্রমাণ পান চিকিৎসকরা। এরপর তিমিটির পাকস্থলী পরীক্ষা করে দেখা যায় সেখানে রয়েছে প্রায় সাড়ে ৯ কেজি ওজনের একটি মহামূল্যবান পাথর। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পাথরটি মূলত তিমিটির বমি। তিমিটির বমি এতটাই বিরল এবং দামি যে, একে সমুদ্রে ভাসমান সোনা বলা হয়। সুগন্ধি তৈরি করা থেকে শুরু আরও নানা শিল্পে ব্যবহার করা হয় তিমির বমি বা অ্যাম্বারগিস। বাজারে এই অ্যাম্বারগিসের রয়েছে ভীষণ চাহিদা। স্পার্ম হোয়েল সাধারণত বিভিন্ন ধরণের সামুদ্রিক প্রাণী খেয়ে থাকে। তবে এই খাবারের খানিকটা হজম করতে পারে না তারা। এই হজম না হওয়া অংশ জমতে থাকে তিমির পেটে। ধীরে ধীরে তা আকারে বাড়তে থাকে,একপর্যায়ে পাথরের মত কঠিন হয়ে অ্যাম্বারগিসে পরিণত হয়। এই অ্যাম্বারগিস আয়তনে বেশি বেড়ে গেলে তা তিমি মাছের পাকস্থলী ছিঁড়ে বের হয়ে আসে এবং এর কারণে মৃত্যু হয় তিমিটির।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মৃত তিমির পেটে ৬ কোটি টাকার সম্পদ উদ্ধার

আপডেট টাইম : ১২:২৭:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ জুলাই ২০২৩

স্পেনের ক্যানারি দ্বীপের সমুদ্র সৈকতে ভেসে আসা বিরল প্রজাতির একটি তিমি। সেই তিমি মরদেহ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ৬ কোটি টাকার সম্পদ। এই বহুমূল্যবান সম্পদের কারণেই মূলত প্রাণ হারিয়েছে তিমিটি। দ্যা গার্ডিয়ান জানিয়েছে, আফ্রিকার উত্তর-পশ্চিমের ক্যানারি দ্বীপের লা পালমায় নগালেস সৈকত ভেসে আসে একটি বিরল প্রজাতির স্পার্ম হোয়েল। যার পাকস্থলী থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৫ লাখ ইউরো বা ৫ কোটি ৯০ লাখ টাকার সম্পদ। পৃথিবীতে যত তিমি রয়েছে স্পার্ম হোয়েলের সংখ্যা তার মাত্র এক শতাংশ। বিরল এই তিমিটিকে সৈকতেই প্রাথমিক পরীক্ষা করে হজমজনিত সমস্যার কিছু প্রমাণ পান চিকিৎসকরা। এরপর তিমিটির পাকস্থলী পরীক্ষা করে দেখা যায় সেখানে রয়েছে প্রায় সাড়ে ৯ কেজি ওজনের একটি মহামূল্যবান পাথর। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পাথরটি মূলত তিমিটির বমি। তিমিটির বমি এতটাই বিরল এবং দামি যে, একে সমুদ্রে ভাসমান সোনা বলা হয়। সুগন্ধি তৈরি করা থেকে শুরু আরও নানা শিল্পে ব্যবহার করা হয় তিমির বমি বা অ্যাম্বারগিস। বাজারে এই অ্যাম্বারগিসের রয়েছে ভীষণ চাহিদা। স্পার্ম হোয়েল সাধারণত বিভিন্ন ধরণের সামুদ্রিক প্রাণী খেয়ে থাকে। তবে এই খাবারের খানিকটা হজম করতে পারে না তারা। এই হজম না হওয়া অংশ জমতে থাকে তিমির পেটে। ধীরে ধীরে তা আকারে বাড়তে থাকে,একপর্যায়ে পাথরের মত কঠিন হয়ে অ্যাম্বারগিসে পরিণত হয়। এই অ্যাম্বারগিস আয়তনে বেশি বেড়ে গেলে তা তিমি মাছের পাকস্থলী ছিঁড়ে বের হয়ে আসে এবং এর কারণে মৃত্যু হয় তিমিটির।