ঢাকা ১০:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাত্র ৩০ মিনিটে ফুরফুরে হবে মন, পালাবে হাজারো রোগ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:৩৫:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ জুন ২০২৩
  • ১১৪ বার

শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে আমরা বিভিন্ন ব্যায়াম করে থাকি। কিন্তু অনেক ব্যায়ামের মধ্যে সকালে হাঁটা ব্যায়ামটা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। শরীরচর্চা করতে না পারলেও, দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় কিছুক্ষণ হাঁটলে অনেকটাই উপকার পাওয়া যায়। গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা থেকেও মুক্তি মেলে। তবে জুতা পরে হাঁটার চেয়ে, খালি পায়ে হাঁটা আরও বেশি উপকারী।

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন খালি পায়ে ঘাসের ওপর হাঁটলে আরও বেশি উপকার পাওয়া যায়। খালি পায়ে হাঁটা মানেই মাটির সঙ্গে শরীরে সরাসরি সংযোগ তৈরি হওয়া। শরীরে স্নায়ুর মাধ্যমে এই বার্তা পৌঁছায় মস্তিষ্কেও। যার প্রভাব খুবই ভালো। তাই সবার হাঁটার উপকারিতাগুলো জানা জরুরি।

রাতে ঠিকমতো ঘুম না হলে ঘুমের ওষুধ খাওয়ার পরিবর্তে হাঁটার অভ্যাস করুন। গবেষণায় দেখা গেছে, ঘাসের ওপর খালি পায়ে হাঁটলে দূর হয় অনিদ্রার সমস্যা। তাই প্রতিদিন সকালে অন্তত ৩০ মিনিট ঘাসের ওপর খালি পায়ে হাঁটার চেষ্টা করুন। তা ছাড়া ঘাসের ওপর খালি পায়ে হাঁটলে শারীরিক অঙ্গগুলোর কার্যকারিতা বাড়াতে সহায়তা করে।

হার্ট সুস্থ থাকে রোজ খালি পায়ে হাঁটলে কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে। উচ্চ রক্তচাপ হ্রাস হয়। হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ করে। হৃদরোগের সম্ভাবনাও কমে যায়। ফলে হার্ট সুস্থ থাকে। চোখ ভালো থাকে স্ক্রিন টাইম যত বাড়ছে, ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে চোখের সমস্যা।

চোখের স্নায়ুতন্ত্র পায়ের নিচে নির্দিষ্ট স্থানের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। খালি পায়ে হাঁটার সময় পায়ের পাতায় যে চাপ পড়ে, তার ফলে চোখের স্নায়ু ভালো থাকে এবং চোখ সুস্থ থাকে। ঘাসের ওপর খালি পায়ে হাঁটা দৃষ্টিশক্তি আরও উন্নত করে।

স্ট্রেসের কারণে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। তাই স্ট্রেস মুক্ত থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঘাসের ওপর খালি পায়ে হাঁটলে ভালো হরমোন নির্গত হয়। যার ফলে স্ট্রেস কমে এবং মন শান্ত থাকে। পায়ের পেশি শক্ত হয়। খালি পায়ে হাঁটলে আমাদের পায়ের পাতার নিচ থেকে টক্সিন দূর হয় এবং ত্বকের পৃষ্ঠে স্বাস্থ্যকর অণুজীবের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, যা পায়ের জন্য খুবই ভালো।

এ ছাড়া খালি পায়ে হাঁটা গোড়ালি, লিগামেন্ট এবং পায়ের পেশিকে প্রসারিত ও শক্তিশালী করে। পায়ের ও কোমরের পেশির ওপর চাপ বাড়ে। ফলে এই অংশের পেশির জোর বাড়ে ও শক্তিশালী হয়। স্নায়ুতন্ত্র ভালো থাকে ঘাসের ওপর খালি পায়ে হাঁটার সময় পায়ের নির্দিষ্ট আকুপাংচার পয়েন্ট উদ্দীপিত হয়। এটি আমাদের স্নায়ু এবং শিরাগুলোকে সক্রিয় করতে সাহায্য করে।

ফলে স্নায়ুতন্ত্র ভালো থাকে। সকালের ক্ষুধা মেটান স্যান্ডউইচ দিয়ে, এতে ঋতুস্রাবজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে। এ ছাড়া হরমোনের তারতম্য দেখা দিলে শরীর ও মন কোনোটিই ভালো থাকে না। ঋতুস্রাবের ঠিক আগে মহিলাদের মুড সুইং, পেটব্যথা, মাথাব্যথা, ওজন বৃদ্ধি, কোষ্ঠকাঠিন্য, ব্রণ এবং আরও অনেক উপসর্গ দেখা দেয়। রোজ ঘাসের ওপর খালি পায়ে হাঁটলে প্রি-মেনস্ট্রুয়াল সিনড্রোম থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মাত্র ৩০ মিনিটে ফুরফুরে হবে মন, পালাবে হাজারো রোগ

আপডেট টাইম : ০৮:৩৫:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ জুন ২০২৩

শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে আমরা বিভিন্ন ব্যায়াম করে থাকি। কিন্তু অনেক ব্যায়ামের মধ্যে সকালে হাঁটা ব্যায়ামটা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। শরীরচর্চা করতে না পারলেও, দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় কিছুক্ষণ হাঁটলে অনেকটাই উপকার পাওয়া যায়। গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা থেকেও মুক্তি মেলে। তবে জুতা পরে হাঁটার চেয়ে, খালি পায়ে হাঁটা আরও বেশি উপকারী।

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন খালি পায়ে ঘাসের ওপর হাঁটলে আরও বেশি উপকার পাওয়া যায়। খালি পায়ে হাঁটা মানেই মাটির সঙ্গে শরীরে সরাসরি সংযোগ তৈরি হওয়া। শরীরে স্নায়ুর মাধ্যমে এই বার্তা পৌঁছায় মস্তিষ্কেও। যার প্রভাব খুবই ভালো। তাই সবার হাঁটার উপকারিতাগুলো জানা জরুরি।

রাতে ঠিকমতো ঘুম না হলে ঘুমের ওষুধ খাওয়ার পরিবর্তে হাঁটার অভ্যাস করুন। গবেষণায় দেখা গেছে, ঘাসের ওপর খালি পায়ে হাঁটলে দূর হয় অনিদ্রার সমস্যা। তাই প্রতিদিন সকালে অন্তত ৩০ মিনিট ঘাসের ওপর খালি পায়ে হাঁটার চেষ্টা করুন। তা ছাড়া ঘাসের ওপর খালি পায়ে হাঁটলে শারীরিক অঙ্গগুলোর কার্যকারিতা বাড়াতে সহায়তা করে।

হার্ট সুস্থ থাকে রোজ খালি পায়ে হাঁটলে কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে। উচ্চ রক্তচাপ হ্রাস হয়। হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ করে। হৃদরোগের সম্ভাবনাও কমে যায়। ফলে হার্ট সুস্থ থাকে। চোখ ভালো থাকে স্ক্রিন টাইম যত বাড়ছে, ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে চোখের সমস্যা।

চোখের স্নায়ুতন্ত্র পায়ের নিচে নির্দিষ্ট স্থানের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। খালি পায়ে হাঁটার সময় পায়ের পাতায় যে চাপ পড়ে, তার ফলে চোখের স্নায়ু ভালো থাকে এবং চোখ সুস্থ থাকে। ঘাসের ওপর খালি পায়ে হাঁটা দৃষ্টিশক্তি আরও উন্নত করে।

স্ট্রেসের কারণে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। তাই স্ট্রেস মুক্ত থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঘাসের ওপর খালি পায়ে হাঁটলে ভালো হরমোন নির্গত হয়। যার ফলে স্ট্রেস কমে এবং মন শান্ত থাকে। পায়ের পেশি শক্ত হয়। খালি পায়ে হাঁটলে আমাদের পায়ের পাতার নিচ থেকে টক্সিন দূর হয় এবং ত্বকের পৃষ্ঠে স্বাস্থ্যকর অণুজীবের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, যা পায়ের জন্য খুবই ভালো।

এ ছাড়া খালি পায়ে হাঁটা গোড়ালি, লিগামেন্ট এবং পায়ের পেশিকে প্রসারিত ও শক্তিশালী করে। পায়ের ও কোমরের পেশির ওপর চাপ বাড়ে। ফলে এই অংশের পেশির জোর বাড়ে ও শক্তিশালী হয়। স্নায়ুতন্ত্র ভালো থাকে ঘাসের ওপর খালি পায়ে হাঁটার সময় পায়ের নির্দিষ্ট আকুপাংচার পয়েন্ট উদ্দীপিত হয়। এটি আমাদের স্নায়ু এবং শিরাগুলোকে সক্রিয় করতে সাহায্য করে।

ফলে স্নায়ুতন্ত্র ভালো থাকে। সকালের ক্ষুধা মেটান স্যান্ডউইচ দিয়ে, এতে ঋতুস্রাবজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে। এ ছাড়া হরমোনের তারতম্য দেখা দিলে শরীর ও মন কোনোটিই ভালো থাকে না। ঋতুস্রাবের ঠিক আগে মহিলাদের মুড সুইং, পেটব্যথা, মাথাব্যথা, ওজন বৃদ্ধি, কোষ্ঠকাঠিন্য, ব্রণ এবং আরও অনেক উপসর্গ দেখা দেয়। রোজ ঘাসের ওপর খালি পায়ে হাঁটলে প্রি-মেনস্ট্রুয়াল সিনড্রোম থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব।