তীব্র তাপপ্রবাহ আর লোডশেডিংয়ের কারণে মানুষের কষ্ট হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুই দিনের মধ্যে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ হবে জাতীয় গ্রিডে।
বুধবার (৭ জুন) ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বিদ্যুতের কারণে মানুষের কষ্ট হচ্ছে, সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করছে সরকার। ১০-১৫ দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নতি হবে। অতিরিক্ত গরমে মানুষের কষ্ট বুঝতে পারছি। আর বিদ্যুতের কষ্ট থাকবে না।
আমেরিকার ভিসানীতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি ঘোষণার পর বেশ খুশি বিএনপি। বিএনপি এখন যাদের কথায় নাচছে, একদিন তারাই তাদের খাবে। আন্দোলনের নামে জ্বালাও পোড়াও করলে বিএনপি আমেরিকার ভিসা পাবে না।
তিনি বলেন, বিএনপি ভেবেছে, তারা নাগরদোলায় বসে থাকবে আর কেউ এসে তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। বিদেশিরা তাদের ক্ষমতায় বসাতে পারেবে না। কোনো দলকে ক্ষমতায় বসাতে পারে শুধুমাত্র দেশের জনগণ। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির কারণে একটি দিক ভালো যে বিএনপি এখন আর আগুনসন্ত্রাস করতে পারবে না। তারা ভোটে বাধা দিতে পারবে না।
বিএনপি নেতাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, কোন গণতান্ত্রিক ধারায় জন্ম হয়েছিল বিএনপির? মিলিটারি ডিক্টেটরের তৈরি রাজনৈতিক দলের নেতাদের মুখে এখন গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে, হ্যাঁ-না ভোট করে তা বৈধ করেছিলেন জিয়াউর রহমান। ভোট কারচুপির সূচনা হয়েছে বিএনপির মাধ্যমে।
তিনি বলেন, এ দেশে হত্যার রাজনীতি, ভোট কারচুপি, মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা- এসবের সূচনা করেন জিয়াউর রহমান। উচ্চ আদালত রায় দিয়েছেন, সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল অবৈধ। যেটা করেছেন জিয়াউর রহমান।
সরকারপ্রধান বলেন, দেশি-বিদেশি যতই চাপ আসুক মাথা নত করব না। আমরাই আমাদের ভোটের অধিকারের সুরক্ষা দেব। আওয়ামী লীগ কারেও কাছে মাথা নত করবে না।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, শাহজাহান খান, সিমিন হোসেন রিমিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি প্রমুখ।