দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান জানিযেছেন, এটি অতিপ্রবল (ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোন) ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে।
শনিবার (১৩ মে) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে এক সভা শেষে তিনি এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রথমে আশঙ্কা করা হয়েছিল এটি সুপার সাইক্লোন হতে পারে। আমরা এখন পর্যবেক্ষণ করে বুঝতে পেরেছি যে, এটা সুপার সাইক্লোন হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ সুপার সাইক্লোন হতে গেলে বাতাসের গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ২২০ কিলোমিটার থাকতে হবে। কিন্তু এখন বাতাসের গতিবেগ ১৫০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার। এটাকে আমরা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় বা ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোন হিসেবে অভিহিত করছি।
তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের আভ্যন্তরীণ গতিবেগ, উপকূলের দিকে এগিয়ে যাওয়ার গতিবেগ এবং উপকূল থেকে দূরত্ব বিবেচনা করে কক্সবাজারের জন্য ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্র বন্দরের জন্য ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং মোংলা বন্দরের জন্য চার নম্বর বিপদ সংকেত জারি করা হবে।
এ সভায় উপস্থিত বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেন, শুক্রবার এগোনোর গতি ছিল ঘণ্টায় ১১ কিলোমিটার, শনিবার তা কমে এসেছে আট কিলোমিটারে এসেছে। পাশাপাশি উপকূলে আঘাত হানার সময় স্থলভাগ, পাহাড়ের সঙ্গে ইন্টার-অ্যাকশন হয়ে বাতাসের গতিও কমে যাবে।