ঢাকা ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পলিনেট হাউসে প্রথম ফুল চাষে লাভবান হচ্ছে কৃষক

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:২৯:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১৩৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সিরাজগঞ্জে পলিনেট হাউসে ফুল চাষে লাভবান হচ্ছে আদর্শ অনেকে। লাভজনক এ ফুল চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। এ ফুল বাজারজাত করতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এই প্রথম সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার একডালা গ্রামে পলিনেটে প্রায় ১৩ শতক জমিতে এ ফুলের চাষ করেছে শহীদুল ইসলাম । এ ফুল চাষ করতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৩১ হাজার টাকা। সে ইতিমধ্যেই ৭১ হাজার টাকার ফুল বিক্রি করেছে । এ ফুল জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া নতুন করে চন্দ্রমল্লিকা, গাদা ও গোলাপ ফুলে ছেয়ে গেছে পলিনেট হাউস। কৃষক শহীদুলের এমন উদ্যেগ দেখে এ অঞ্চলের অনেক কৃষক এ ফুল চাষে ঝুঁকছে এবং তাদের অনেকেই লাভবান হচ্ছে। স্থানীয় একজন কৃষিবিদ বলছেন, পলিনেট হাউস পদ্ধতিতে দীর্ঘমেয়াদী ফুল চাষ করা যায়। এক মৌসূরে ফুল আরেক মৌসূমে চাষাবাদ করা যায় এবং রোগবালাইও কম হয়ে থাকে। ইতিমধ্যেই এ ফুল চাষ কৃষকদের মধ্যে সাড়া পড়েছে। এ ফুল বাগান দেখতে এলাকার নানা বয়নের মানুষ ভীড় জমাচ্ছে প্রতিদিন। ফুল চাষের পাশাপাশি সারাবছর বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদ করা হচ্ছে এ পলিনেট হাউসে। এখন আর জমি পতিত পড়ে থাকছে না । আধুনিক পদ্ধতির মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় একই এলাকার রতনকান্দিতে একটি পলিনেট হাউস নির্মাণ করা হয়েছে। এ পলিনেট হাউসে বিভিন্ন উচ্চমূল্যের ফসল ও ফুলগুলো চাষাবাদ করা মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে । বিশেষ করে লেটুস, ক্যাপসিকাম ও বিভিন্ন ফুল চাষাবাদ করা হবে। এ হাউসে শীতকালীন ফুল ও ফসল গ্রীষ্মকালীন সময়ে চাষ করা যায়। অনেক সময় প্রচন্ড শীত, খরা, অতিবৃষ্টি অনাবৃষ্টির কারণে উচ্চমূল্যের ফসলগুলো চাষাবাদে নানা সমস্যা হয়। কিন্তু এ পদ্ধতিতে এমন সমস্যা থাকবে না। ওই আদর্শ কৃষক শহীদুলসহ অনেকেই সাংবাদিকদের বলেন, পলিনেট হাউসে চাষে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে নিরাপদ। বৃষ্টির মধ্যে উন্নতমানের টমেটো, ক্যাপসিকাম, লেটুস, ফুলকপি, বাঁধাকপিসহ বিভিন্ন সবজি ফসল চাষ করা যায়। এতে কৃষকেরা লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ফুল চাষে স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার সাদাত আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, আধুনিক পদ্ধতির মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এ পলিনেট হাউস নির্মাণ করা হয়েছে। পলিনেট হাউসে এই প্রথম ফুল চাষ করা হচ্ছে। এ পদ্ধতিতে দীর্ঘমেয়াদী ফুল চাষ করা যায়। ইতিমধ্যেই লাভজনক এ ফুল চাষাবাদে ঝুকে পড়েছে অনেক কৃষক। এ ফুল চাষীদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

পলিনেট হাউসে প্রথম ফুল চাষে লাভবান হচ্ছে কৃষক

আপডেট টাইম : ১২:২৯:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৩

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সিরাজগঞ্জে পলিনেট হাউসে ফুল চাষে লাভবান হচ্ছে আদর্শ অনেকে। লাভজনক এ ফুল চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। এ ফুল বাজারজাত করতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এই প্রথম সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার একডালা গ্রামে পলিনেটে প্রায় ১৩ শতক জমিতে এ ফুলের চাষ করেছে শহীদুল ইসলাম । এ ফুল চাষ করতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৩১ হাজার টাকা। সে ইতিমধ্যেই ৭১ হাজার টাকার ফুল বিক্রি করেছে । এ ফুল জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া নতুন করে চন্দ্রমল্লিকা, গাদা ও গোলাপ ফুলে ছেয়ে গেছে পলিনেট হাউস। কৃষক শহীদুলের এমন উদ্যেগ দেখে এ অঞ্চলের অনেক কৃষক এ ফুল চাষে ঝুঁকছে এবং তাদের অনেকেই লাভবান হচ্ছে। স্থানীয় একজন কৃষিবিদ বলছেন, পলিনেট হাউস পদ্ধতিতে দীর্ঘমেয়াদী ফুল চাষ করা যায়। এক মৌসূরে ফুল আরেক মৌসূমে চাষাবাদ করা যায় এবং রোগবালাইও কম হয়ে থাকে। ইতিমধ্যেই এ ফুল চাষ কৃষকদের মধ্যে সাড়া পড়েছে। এ ফুল বাগান দেখতে এলাকার নানা বয়নের মানুষ ভীড় জমাচ্ছে প্রতিদিন। ফুল চাষের পাশাপাশি সারাবছর বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদ করা হচ্ছে এ পলিনেট হাউসে। এখন আর জমি পতিত পড়ে থাকছে না । আধুনিক পদ্ধতির মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় একই এলাকার রতনকান্দিতে একটি পলিনেট হাউস নির্মাণ করা হয়েছে। এ পলিনেট হাউসে বিভিন্ন উচ্চমূল্যের ফসল ও ফুলগুলো চাষাবাদ করা মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে । বিশেষ করে লেটুস, ক্যাপসিকাম ও বিভিন্ন ফুল চাষাবাদ করা হবে। এ হাউসে শীতকালীন ফুল ও ফসল গ্রীষ্মকালীন সময়ে চাষ করা যায়। অনেক সময় প্রচন্ড শীত, খরা, অতিবৃষ্টি অনাবৃষ্টির কারণে উচ্চমূল্যের ফসলগুলো চাষাবাদে নানা সমস্যা হয়। কিন্তু এ পদ্ধতিতে এমন সমস্যা থাকবে না। ওই আদর্শ কৃষক শহীদুলসহ অনেকেই সাংবাদিকদের বলেন, পলিনেট হাউসে চাষে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে নিরাপদ। বৃষ্টির মধ্যে উন্নতমানের টমেটো, ক্যাপসিকাম, লেটুস, ফুলকপি, বাঁধাকপিসহ বিভিন্ন সবজি ফসল চাষ করা যায়। এতে কৃষকেরা লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ফুল চাষে স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার সাদাত আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, আধুনিক পদ্ধতির মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এ পলিনেট হাউস নির্মাণ করা হয়েছে। পলিনেট হাউসে এই প্রথম ফুল চাষ করা হচ্ছে। এ পদ্ধতিতে দীর্ঘমেয়াদী ফুল চাষ করা যায়। ইতিমধ্যেই লাভজনক এ ফুল চাষাবাদে ঝুকে পড়েছে অনেক কৃষক। এ ফুল চাষীদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।