ঢাকা ০৭:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
সাদপন্থীদের নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবিতে মদনে আবারও বিক্ষোভ মিছিল পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বর্ডারে দুর্নীতির কারণে ঠেকানো যাচ্ছে না ‘রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ আব্রাম না থাকলে তাকে আমার যোগ্য বলেও মনে করতাম না ওমরাহ শেষে গ্রামে ফিরে খেজুর-জমজমের পানি বিতরণ করল শিশু রিফাত বিদেশে প্রশিক্ষণে ঘুরে-ফিরে একই ব্যক্তি নয়, জুনিয়রদের অগ্রাধিকার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়ে সড়ক ছাড়লেন চিকিৎসকরা রেমিট্যান্সে জোয়ার, ২১ দিনে এলো ২ বিলিয়ন ডলার গণমাধ্যমের পাঠক-দর্শক-শ্রোতার মতামত জরিপ জানুয়ারিতে বুয়েট শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩ আসামি রিমান্ডে বিয়ের আগে পরস্পরকে যে প্রশ্নগুলো করা জরুরি

পাইকড়ের এক গাছে ৬০টি চাক বেঁধেছে মৌচাক

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৫২:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২২
  • ১৩৬ বার

বিলের রাস্তার ধারে যেতেই চোখে পড়ে পাইকড়ের গাছ। আর এই এক গাছেই প্রায় ৬০টি চাক বেঁধেছে মৌমাছিরা। এক সঙ্গে এতগুলো মৌচাক দেখার জন্য প্রতিদিনই এই গাছটির কাছে ভিড় করছেন উৎসুক জনতা।

এমন দৃশ্যের দেখা মেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার কানসাট-ভোলাহাট সড়কের সোনাজল এলাকায়। এই পাইকড়ের গাছটি দেখভাল করেন গাছ সংলগ্ন ওই এলাকারই সেভেন স্টার নামের একটি ইট ভাটার মালিক ও কর্মচারীরা। তাদের দাবি, প্রত্যেক বছরের ৫-৬ মাস এখানে মৌমাছিদের বিচরণ থাকে।

জানা যায়, বিলে এখন সরিষা চাষাবাদ করছেন কৃষকরা। ওই সরিষার ক্ষেত থেকে মৌমাছিরা মধু আহরণ করে নিয়ে আসে। ফলে মৌমাছির গুন গুন ধ্বনিতে গাছতলা ও আশপাশ মুখরিত হয় সব সময়। রাস্তার ধারের পাইকোড়ের গাছটিতে রয়েছে প্রায় ৬০টি মৌচাক রয়েছে। সাধারণত মৌমাছিরা ৫-৬ মাসের জন্য গাছটিতে বাসা বাঁধে। আবার আম গাছে মুকুল ফোটার সময় অন্য এলাকায় গিয়ে চাক গড়ে তোলে।

সেভেন স্টার নামক ইট ভাটার মালিক রাফিকুল হক ডুবলু বলেন, গত ১০ বছর ধরে আমরা দেখছি এই গাছটিতে মৌমাছিরা চাক তৈরি করছে। বড়ই ফুল আসার সময় মৌমাছিরা এখানে আসে। তার আগে আমরা গাছের ডাল পালাগুলো পরিষ্কার করে থাকি। ৩-৪ বার মধু সংগ্রহ করার পর মৌচাকগুলো আরও তিন-চার মাস থাকে। যখন আম গাছে মুকুল আসার সময় হয় তখন মৌমাছিরা চলে যায়।

স্থানীয় কৃষক শামসুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই গাছটিতে মৌচাক বসতে দেখি। গাছের প্রায় সব বড় ডালেই চাক বাঁধে মৌমাছিরা। একটি গাছে এতগুলো মৌচাক সাধারণত দেখা যায় না। অনেকেই এই গাছে অপরিপক্ক থাকা অবস্থায় মধু সংগ্রহ করতে আসলেও, ভাটা মালিকদের তদারকির কারণে পারে না।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের পরিবেশবাদী সংগঠন সেভ দ্যা নেচারের প্রধান সমন্বয়ক রবিউল হাসান ডলার বলেন, এক গাছে এত মৌচাক সাধারণত খুব কমই দেখা যায়। পরিবেশের ভারসম্য রক্ষায় মৌমাছিদের ভূমিকা অপরিসীম। তাই মৌমাছিরা যাতে নির্ভয়ে মৌচাক তৈরি ও মধু সংগ্রহ করতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।

ভোলাহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুলতাল আলী জানান, রাস্তার ধারের পাইকোড়ের গাছটিতে ৫০-৬০টি মৌচাক রয়েছে। যতটুক জেনেছি ১০-১৫ বছর ধরে এই গাছে মৌমাছিরা বাসা বাঁধে। এই দৃশ্য দেখতে খুবই ভালো লাগে। কৃষকের উৎপাদিত বিভিন্ন ধরণের ফসল থেকে মধু সংগ্রহের জন্য মৌমাছিরা এখানে আসে। এতে ফসলের পরাগায়নে মৌমাছির ভূমিকা রয়েছে। চলতি শীত মৌসুমে উপজেলায় এবার মাঠে ৯০০ মৌ বক্স বসিয়েছে মৌয়ালরা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সাদপন্থীদের নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবিতে মদনে আবারও বিক্ষোভ মিছিল

পাইকড়ের এক গাছে ৬০টি চাক বেঁধেছে মৌচাক

আপডেট টাইম : ১২:৫২:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২২

বিলের রাস্তার ধারে যেতেই চোখে পড়ে পাইকড়ের গাছ। আর এই এক গাছেই প্রায় ৬০টি চাক বেঁধেছে মৌমাছিরা। এক সঙ্গে এতগুলো মৌচাক দেখার জন্য প্রতিদিনই এই গাছটির কাছে ভিড় করছেন উৎসুক জনতা।

এমন দৃশ্যের দেখা মেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার কানসাট-ভোলাহাট সড়কের সোনাজল এলাকায়। এই পাইকড়ের গাছটি দেখভাল করেন গাছ সংলগ্ন ওই এলাকারই সেভেন স্টার নামের একটি ইট ভাটার মালিক ও কর্মচারীরা। তাদের দাবি, প্রত্যেক বছরের ৫-৬ মাস এখানে মৌমাছিদের বিচরণ থাকে।

জানা যায়, বিলে এখন সরিষা চাষাবাদ করছেন কৃষকরা। ওই সরিষার ক্ষেত থেকে মৌমাছিরা মধু আহরণ করে নিয়ে আসে। ফলে মৌমাছির গুন গুন ধ্বনিতে গাছতলা ও আশপাশ মুখরিত হয় সব সময়। রাস্তার ধারের পাইকোড়ের গাছটিতে রয়েছে প্রায় ৬০টি মৌচাক রয়েছে। সাধারণত মৌমাছিরা ৫-৬ মাসের জন্য গাছটিতে বাসা বাঁধে। আবার আম গাছে মুকুল ফোটার সময় অন্য এলাকায় গিয়ে চাক গড়ে তোলে।

সেভেন স্টার নামক ইট ভাটার মালিক রাফিকুল হক ডুবলু বলেন, গত ১০ বছর ধরে আমরা দেখছি এই গাছটিতে মৌমাছিরা চাক তৈরি করছে। বড়ই ফুল আসার সময় মৌমাছিরা এখানে আসে। তার আগে আমরা গাছের ডাল পালাগুলো পরিষ্কার করে থাকি। ৩-৪ বার মধু সংগ্রহ করার পর মৌচাকগুলো আরও তিন-চার মাস থাকে। যখন আম গাছে মুকুল আসার সময় হয় তখন মৌমাছিরা চলে যায়।

স্থানীয় কৃষক শামসুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই গাছটিতে মৌচাক বসতে দেখি। গাছের প্রায় সব বড় ডালেই চাক বাঁধে মৌমাছিরা। একটি গাছে এতগুলো মৌচাক সাধারণত দেখা যায় না। অনেকেই এই গাছে অপরিপক্ক থাকা অবস্থায় মধু সংগ্রহ করতে আসলেও, ভাটা মালিকদের তদারকির কারণে পারে না।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের পরিবেশবাদী সংগঠন সেভ দ্যা নেচারের প্রধান সমন্বয়ক রবিউল হাসান ডলার বলেন, এক গাছে এত মৌচাক সাধারণত খুব কমই দেখা যায়। পরিবেশের ভারসম্য রক্ষায় মৌমাছিদের ভূমিকা অপরিসীম। তাই মৌমাছিরা যাতে নির্ভয়ে মৌচাক তৈরি ও মধু সংগ্রহ করতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।

ভোলাহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুলতাল আলী জানান, রাস্তার ধারের পাইকোড়ের গাছটিতে ৫০-৬০টি মৌচাক রয়েছে। যতটুক জেনেছি ১০-১৫ বছর ধরে এই গাছে মৌমাছিরা বাসা বাঁধে। এই দৃশ্য দেখতে খুবই ভালো লাগে। কৃষকের উৎপাদিত বিভিন্ন ধরণের ফসল থেকে মধু সংগ্রহের জন্য মৌমাছিরা এখানে আসে। এতে ফসলের পরাগায়নে মৌমাছির ভূমিকা রয়েছে। চলতি শীত মৌসুমে উপজেলায় এবার মাঠে ৯০০ মৌ বক্স বসিয়েছে মৌয়ালরা।